উজানী নগরে সাধু বনিকের কন্যা বেহুলা সুন্দরী ,
পরিনয় হলো লখীন্দরের সাথে এলো বধুবেশে তার ই ।
চম্পক নগরে চাঁদ বণিকের  পুত্র বধু হলো বেহুলা সুন্দরী  ,
বেহুলারে আনে ঘরে লখীন্দরের সঙ্গে বিবাহ দিয়ে তার ই ।

সাতালি পর্বতের উপর করিল নির্মাণ লোহার বাসর  ,
হেতালের বাড়ি হাতে চাঁদ সেথায় রইল পাহরাদার  ।
সূচাগ্র ছিদ্র পথে কালনাগিনী প্রবেশে বাসরে লোহার  ,
নাগিনী আসে সেথায় যেথায় বাসরে ঘুমায় লখীন্দর ।

বিশ্বকর্মা সাতালি পর্বতে বাসর করেছিলেন নির্মাণ  ,
যেন না প্রবেসে সেথায় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কোন প্রাণ  ।
মনসার আদেশে বিশ্বকর্মা সেথা এক ক্ষুদ্রছিদ্র রাখেন  ,
সেই ছিদ্র পথে নাগিনী প্রবেশে করে লখাইকে দংশন  ।

দেবী মনসার আদেশে লোহার দেওয়ালে ছিল সূচাগ্র ছিদ্র ,
বাসর ঘরের চারপাশে অতন্দ্র প্রহরী ছিল সদাই জাগ্রত  ।
মা মনসার  অভিশাপ হতে লখীন্দরের হলো নাকো  মুক্ত ,
সেই দিন বাসর ঘরে সর্পাঘাতে লখীন্দরের মৃত্যু অব্যর্থ  ।

              ****************
রাত্রি - ৯ : ৪৮ মিনিট  ।
২৮ / ০৯ / ২৪ শনিবার  ।
রবীন্দ্রনগর  = মেদিনীপুর  ।