যেথায় হয়নি চন্দ্রোদয় কালো ডানা মেলে পেঁচক বলয় ,
সেথায় প্রাণের সঞ্চার নাই সদাই জীবের প্রাণ সংশয় ।
সেথা মরণ কুপের তলায় বিবস্ত্র কুয়াশার হয় মহাপ্রলয় ,
বিভীষকা অন্তর দহে দেয় অসহনীয় ভীতির অকুতোভয় ।

তখনই মানসিক আবরণ খুলে ফেলে দেয় সেই কামিনী ,
খুলে ফেলে হয় অনাদ্রিতা বিবস্ত্র নিরাভরনা পাগলীনি রমণী ।
দেশে দশের আমন্ত্রনে উদ্ভাসিত উল্লাসিত হয়ে উঠে উন্মাদিনী ,
মাতঙ্গিনী  রূপ ধরে যেন প্রতিকারিণী বিদ্রুপিনী হুঙ্কারি প্রতিবাদিনী  ।

রন হুঙ্কারে গর্জে উঠে সেই দুঃসাহসিনি নির্ভিকা ভয়ঙ্করী ভামিনি ,
যেন ভীমা ভয়ঙ্করী সংঘাতিনি দুরন্ত কালভৈরবিনি ললনা দামিনী ।
সম্মোহিনী রূপ ধরে মহেশ্বর ভোলানাথে ভুলালো সেই সিমন্তিনী ,
মনে হয় শান্তিময়ী জননী বৈকুন্ঠে নারায়ন বামে বসে নারায়নী ।

যেথায় মানুষর অগোচর অলৌকিক ঘটনার বিমূর্ত প্রবাহিনী ,
সেকি লোক চক্ষুর অন্তরালে ঘটে যাওয়া মন্ত্রমুগ্ধ কাহিনী  ।
সেথায় দশমহবিদ্যার রূপধরে অস্ত্র ধরে দশভুজা রমণী ,
সেখানে দিব্যজ্যোতি মহাদ্যুতি ছটা দেখে ভবিতব্য কাহিনী ।

স্বহস্তে নিজমুন্ড করে ছেদন রক্তজিহ্বা রক্তপানে রত রক্তবীজবিনাশিনী  ,
সেই তো মহামায়া  সতী মহাশক্তি রূপিণী রমণী ব্রহ্মসনাতনী ।

                         **************
বেলা - ১১ : ৩০ মিনিট ।
০৮/১১/২৪ শুক্রবার ।
রবীন্দ্রনগর = মেদিনীপুর ।