নগরে গ্রামে জঙ্গলে বনে বনান্তরে জলে অনিলে ,
সবাই চেনে দেখে ভালোবাসে পরিচয় না দিলে ।
রূপ আকৃতি বিস্তৃতি উচ্চতা ব্যাসার্ধ বৃক্ষ পত্রদলে ,
অপরিচিত নয় ঘর দালান দেওয়াল খাট সব মিলে ।
পরিচিত হয়েও অপরিচিত দাঁড়িয়ে একপায়ে খাড়া হয়ে ,
আছে পল্লবিত শাখা প্রশাখা মেলে চারিদিকে প্রশারিয়ে ।
বৃক্ষে ডালে বসে ডাকে পাখী মনের আনন্দে গান গেয়ে ,
কখনো একা নির্জনে আবার কখনো লোকজনের সমন্নয়ে ।
দিগন্তের একপ্রান্তে কিংবা অন্য কোন পৃথক পৃথক স্থানে ,
মানুষ পশু প্রতিটি প্রাণী আমায় জানে চেনে একলে নির্জনে ।
আমার ছত্র ছায়ায় বসে ক্লান্ত পথিক বিশ্রাম লভয়ে বিরলে ,
পত্র ছায়ায় আমার তলায় বিরাম লভয়ে রাখাল আনন্দে খেলে ।
কেউ আবার ডাল কাটে পাতা ছিঁড়ে তচনছ কত খেলার ছলে ,
পারিনা বলতে কিছু পারিনা বলতে কিছুই জড় পদার্থ শুধু বলে ।
শোক দুঃখ আনন্দ কষ্ট অনুভূতি প্রকাশ করিনা থাকি চুপ করে ,
না পারি হাঁটতে চলতে বলতে পারি না বসতে নড়ে ভূমির'পরে ।
তবুও আমি এক জীবন্ত প্রাণী আছে প্রাণ কষ্ট খিদে সব অনুভূতি ,
ঈশ্বর করেছেন আমায় জড় পারিনা বলতে নাই স্থানান্তরের শক্তি ।
**************
বিকাল - ৪ : ৩০ মিনিট ।
২০/ ১১ / ২৪ বুধবার ।
রবীন্দ্রনগর = মেদিনীপুর ।