অনাথ শিশু চারিদিকে দেখে বসে এক অনাথ আশ্রমে,
কেবা মাতা কেবল পিতা ভ্রাতা ভগিনী ভাবে মনে মনে।
মাতা পিতা গেছে কোথায় আমায় ফেলে এই অনাথাশ্রমে,
যদি আছে মোর মাতা পিতা তবে কেন ত্যগে আমারে এখানে ।
কোথা যাব কোথা পাব খুঁজে মাতা পিতায় কোনখানে ,
একান্তে বসিয়া শিশু অনাথ আশ্রমে ভাবে মনে মনে ।
কোথা ছেড়ে গেলো পিতা হারিয়ে গেলো মাতা কতদিনে,
পাব কি তাদের ফিরে এই জনমধরে খুঁজি কোনখানে।
অনাথ শিশুর প্রশ্নের কোন উত্তর খুঁজে না পায় ,
তবুও মনের ভেতর তার ভলোবাসার সাড়া জাগায়।
পিতা তার হারিয়ে গেছে সে তারে চোখে দেখে নাই ,
বড় হয়ে মানুষ হয়ে মাতা পিতার পরিচয় জানা চাই।
এই মহামিলনের মাঝে মা বাবাকে খুঁজে পেতে হবে,
তখনই এ জগৎ মাঝে মা বাবার পরিচয় খুঁজে পাবে।
আসমানে হেরে মা বাবার মুখচ্ছবি মনে মনে ভাবে ,
মা বাবারে মনে করে ব্যাথায় বুক ভরে অনুভবে।
একদা দেখিল এক বৃদ্ধ বৃদ্ধা তার পানে ধেয়ে এলো ,
মস্তক ওপর হাত রেখে বলে বাছা আমার ঘরে চলো ।
অবাক নয়নে শিশু তাদের মুখের পানে চেয়ে রইলো ,
সহসা মাতা পিতায় হেরে উচ্ছ্বাসে হৃদয় ভরে গেলো ।
************
সন্ধ্যা- ৭ :৫০ মিনিট।
০৩ /০৮/২৪ শনিবার।
কোলকাতা।
কবি প্রসুন গোস্বামী ''অনাথের আত্মকথন " কাব্যের মন্তব্য করতে গিয়ে
আমার এই কাব্য। তাঁকেই উৎসর্গ করলাম ।