আমার খোলা জানালার গ্রিলের ফাঁকে
তোমার আঙুলের স্পর্শ মিশে আছে
আমার বৃষ্টি উদযাপনের সময় গুলোতে
সেই সব অস্তিত্বরা এসে দারায় সেখানে
জীবনানন্দের বইটি হাতে
এক কাপ চায়ের চুমুকে,
দুজনের পাশাপাশি পথ একে-
কিছুটা সময় চেয়ে থাকা চলে-
ঝাপসা হয়ে আসা স্মৃতির চোখে।
তবে দেখো না তুমি এই চোখে প্রশ্ন,
উওরের অপেক্ষায় থাকা পৃথিবী সমান আগুনের কণা,
প্রতি মুহূর্তে তার ঘনত্বের বাড়তে থাকা হিংস্রতা,
আর জিজ্ঞাসাবাদ অনুশাসনে খুঁজে ফেরা।
"বলেছিলে ভালো আছো-
কিন্তু তোমার চোখে কাজলের তীব্রতা গেছে কমে,
হাতে মেহেদির রং ধূসর হয়ে উঠেছে।
তবে কি?
বুকে,পিঠের ঠিক উপরে লেখা আমার নামটি মুছে-
তার নাম লিখছে না কেউ ঠিক আমারই মতো করে?"
না কি লিখছে সব-ই? আমারই সব ভ্রান্ত কল্পনা?
আমার-এ বৃষ্টি, এ জীবনানন্দ,
আর ক্ষয় হতে থাকা এ স্মৃতির চোখ,
সব-ই একা?
না কি তুমি আছো?
খুব অন্ধকারে,
বহু যুগের জমে থাকা মেঘের অন্তরালে,
স্বপ্ন হাতে-
বনলতা সেন হতে,
প্রশ্ন জর্জরিত চোখে আগুন নিয়ে,
ও-পারের ডাক কতদূর-
কতদূর হারিয়েছে?