কতো বসন্ত এসে চলে গেল; ছন্দহীন কতো কবিতা শুনিয়ে গেল কালের গহ্বর-
তবু তুমি এলে না!
দু টাকার বাদামে কিনে রাখা প্রেম টুকুন দেয়া হলো না তোমায়; ভালোবাসার বাজারে তুলে ও বিক্রি হলো না আমার ভালোবাসা, বিক্রি করা গেল না আমায়!

শুনেছি ছেলে পুলে তোমার বড় হয়েছে খুবি
মেয়ে টা নাকি ঠিক তোমারই প্রতিচ্ছবি;
সেই বাঁশির মতো নাক, ছিমছাম কান; আর জোয়ালের উপর সারি সারি আইল করে সাজিয়ে রাখা এক গুচ্ছ দাঁত-
শুধু যতটা তফাত ডান গালে না থাকা দু-একটা তিলে!
তবু রূপের জৌলুসে আলো জ্বলে উঠে তোমার প্রাসাদে-বিয়ে নাকি দিয়েছো এক বিদেশী বাবুর কাছে;
ছেলে পুলে নিয়ে ভালো আছে ওরা?

খবর পেয়ে ছিলাম-অমল নাকি গত হয়েছে বছর খানিক আগে;
দু পায়ের বেড়ী খুলে গিয়ে হাঁটা ধরেছিল তোমার বাড়ির রাস্তা ধরে-
তবু কী এক অদ্ভুত যুদ্ধে; হেরে গিয়ে শুধুই- কেঁদেছিলাম দরোজার ওপারে দাড়িয়ে!
তুমিও নিশ্চয়ই কেঁদেছিলে অনেক; ভেবেছিলে নিশ্চয়ই!
এতো বড় বাড়িতে-চশমা ছাড়া দেখতে না পাওয়া চোখে-
মানিয়ে নিবে কীভাবে?

জানি না তুমি কেঁদেছিলে কী না সেদিনের পরে;
কিন্তু আমি কেঁদেছিলাম বেশ কবার খুব লুকিয়ে, সবার অন্তরালে!

অবশ্য- ভৈরবী জানতে চেয়েছিল এই সব ছেলে মানুষীর কারন; ছেলে দুটো ও করতে চাইছিল বাবার হঠাৎ অধঃপতনের রহস্য উন্মোচন,
কিন্তু ওদের বলা যায় নি একমাত্র কারন তুমি; বলা যায় না-
আমি আজও অবিক্রীত; বেচা হয়নি আমার প্রথম প্রেম টুকুন!
কিন্তু-
অবলীলায় চলছে সামাজিক বোঝা পড়ার রীতিনীতি পালন!