মেঘলা দিনের বৃষ্টি ভেজা অন্ধকার আচ্ছন্ন-
সেদিনের এক সন্ধ্যা,
পাশে ছিলাম তুমি-আমি আর হাতে-
ছিল এক গুচ্ছ রজনিগন্ধ্যা।
অফিসের পোশাকে,ভেজা গায়ে,তুমি-
আমি রিম-ঝিম শব্দে পাশাপাশি,
আলতো হাতে,নরম ছোঁয়াই,ভেজা সরিল-
মুছে,তুমার হৃদয়ের কাছাকাছি। আমাই রেখে-
ভালভাসার বন্ধনে,মিশে-বাহু ডোরে,
পূর্ণতা দিয়েছিলে জীবন-প্রেম,বাঁচার আকাঙ্খা-আর
পূর্ণতা দিয়েছিলে সেদিন আমার আমারে।
সেদিন আমি অন্ধকারের আকাশে ডুবে যাওয়া-
চাঁদ,আর তার জোসনা দেখেছিলাম আমার ঘরে,
নিশ্চুপ-নিরজনে শুনেছিলাম হৃদয়ের কোলাহল-
বয়ে যাওয়া হাওয়ার সুরে,ধানশিঁরি নদীর ধাঁরে।
সেদিন আমি পেয়েছিলাম;শপ্ত সুখের খুলা দুয়ারে-
বাঁধনছিঁড়া উরালি নীড়ের ঠিকানা আমারি হাতে,
নিয়েছিলাম;শপ্নে ছুটা-ছোটি জোনাকি আলোড়নের-
সব গুলো দিপ্ত আলোর কুড়ি আমারি সাথে।
সে দিনের পর;
সময়ের সাথে সাথে, মৌসুমের একটি মাত্র পরিবর্তনে-
সৃতি হয়েই রয়ে গেলে হৃদয়ে রাখা তুমি হৃদয়েরই কোনে।
আজও;সেদিনের মতই বৃষ্টি হচ্ছে,সেদিনের মতই বৃষ্টিতে-
ভেজা সরিলে,অফিস ফেরত আমি।
সব কিছুই আছে-বৃষ্টি,ছন্দ,অন্ধকার; সব কিছুই আগের মত !
নেই যা ! নেই শুধু আজ তুমার ছোঁয়া,তুমার আলতো হাত-
আর নেই শুধু আজ তুমি !
মিশে আছ বৃষ্টির উৎপত্তিস্থল ঐ আকাশের নীড়ে,
হইত; বৃষ্টি হয়ে ঝরছ দখিনা পবনের সাথে মিশে-
আমার ঘরে,
এক চিলতে বাতাস হয়ে নীরবতা ভাঙ্গার দোল দিয়ে যাচ্ছ-
আমার শরীরে।
তবু ও মিশে আছ সুখ,শপ্ন,বাচার নির্দেশক হয়ে,
মিশে আছ আমার-
হৃদয়ের বন্দরে।