আমার সফলতায় তোমার মুখের স্নিগ্ধ হাসিটা যেন একটু ম্লান হয়ে গেল ।
না, না, তুমি হেসেছিলে ,
অনেকটা জোর করেই যেন।
তুমি ভেবেছিলে,
আমার চোখে না ধরা পরে যায় তোমার হৃদয়ের মলিনতা।
তুমি আড় চোখে চেয়েছিলে,
আমি বার বার হোঁচট খাওয়ার পরেও দাঁড়িয়ে পরেছি যে সিঁড়িটাতে তার দিকে ।
তোমার চোখের তীব্রতায় -
যেন এক্ষুনি ছিটকে পড়বে সিঁড়িটার ভিতরে থাকা সমস্ত ইট, বালি আর সিমেন্ট এর কণাগুলি।
কিন্তু না, সেটা আর হল কোথায়?
আমার পা ছাড়িয়ে গেলো সিঁড়িটা।
তোমার হৃদয়াগ্নির ফুলকা বের হতেই থাকল-
তোমার নয়নতারাযুগল ভেদ করে ।
দিকবিদিক জ্ঞান শূন্য হয়ে,
আমার পায়ে বেরি পড়াতে তুমি উন্মাদ হয়ে উঠলে।
হ্যাঁ, এবার তুমি সফল হলে।
পায়ে বেরি লাগিয়ে তোমার মনের জোরে মারলে টান।
পরে গেলাম নীচে ।
রক্তাক্ত হল আমার শরীর ।
তুমি হাসলে পরিতৃপ্তির হাসি।
কি প্রশান্তির হাওয়া লেগেছে তোমার মনে!
প্রাণোচ্ছল হাসিতে তুমি মাতোয়ারা ।
আর আমি?
ক্ষতস্থানে ওষুধ লাগিয়ে উঠে দাঁড়ালাম।
খুব কষ্ট করে পা রাখতে চেষ্টা করলাম সেই সিঁড়িতে,
পারলাম না ।
আবার চেষ্টা করলাম,
ব্যর্থ হলাম ।
বারবার চেষ্টা করলাম,
অবশেষে উঠে দাঁড়ালাম।
পায়ে আবার বেরি পড়ল।
আবার নীচে পরে ছটফট করলাম ।
আবার উঠলাম।
আমি উঠে দাঁড়ালাম,
কিন্তু তোমার অবস্থান নীচেই রয়ে গেলো।
কোনোদিন উপরে উঠতে পারলে না,
উঠার চেষ্টাও করলেনা।
পিছুটানতেই তুমি পারদর্শী ।