উৎসর্গ - সন্জীবন বিশ্বাসকে।
খারাপ ছেলে!
যেদিন আমি তোর কবিতা প্রথম শুনি,
সেদিন আমি তোর কবিতার প্রেমে পড়ি।
তোর কবিতা আমার মনের কথা বলে।
তোর কবিতা নূতন করে স্বপ্ন দেখায়।
যে স্বপ্নটা ভেঙে গেছে সকাল হতেই,
বিষাদ ভরে দিয়েছিল হৃদয়টাতে,
সে স্বপ্নটা আজকে যেন মধুর লাগে,
তোর কবিতার পরশ পেয়ে।
খারাপ ছেলে!
যেদিন আমি তোর হাসিটা প্রথম দেখি,
সেদিন আমি ওই হাসি টার প্রেমে পড়ি।
ওই হাসিতে সূর্যোদয়ের সোনা ঝরে।
ওই হাসিটা গোধূলিতে পাখির ডানায় -
আলতো ভাবে পরশ করে।
তারে শান্ত করে -
হৃদয় বীণার তার ছিঁড়ে যার রক্ত ঝরে ।
ওই হাসিতে দুঃখ সাগর হতে অনেক মুক্তা উঠে।
জানিস কি তুই?
তোর হাসিটা তোর তোর মুখেতেই মানায় ভীষণ।
খারাপ ছেলে!
তোর ভাষাটা যেদিন আমি প্রথম শুনি,
মুগ্ধ হয়ে আকাশ পানে চেয়ে থাকি।
সাদা মেঘের আড়ালে তোর ছবি দেখি।
যদিও তুই বাংলা ভাষায় কথা বলিস,
তবু তোর ভাষাতে জীবন যেন প্রাণ খোঁজে পায়,
আর আমি পাই জীবনের এক অন্য মানে।
তুই কার উপরে শোধ নিলি রে?
খারাপ ছেলের তকমা এঁটে নিজের নামে।
নিজের নামে খারাপ ছেলের তকমা এঁটে,
তুই তো "খারাপ" কথার মানেটাকেই বদলে দিলি।