কেমন আছো অপুদা ?
আজকাল তোমাকে কেমন বিমর্ষ লাগে,
সেই মুখে লেগে থাকা হাসিটা --
কই আর তো চোখে পড়ে না ।
মিথ্যে কথা তুমি ভালো নেই অপুদা ,
তোমার ভালো মন্দ আমি বুঝি,
তোমার মুখ দেখলেই সব বোঝা যায়
জানি না, শুধু জানি আমি বুঝি।
তোমার মনে আছে, অপুদা ?
কিছু বছর আগেও আমি রোজ
তোমাদের বাড়িতে যেতাম ,
বিনা কারণে -- নানা অজুহাতে
তোমার পাশে পাশে থাকতে চাইতাম ।
কেনো আবার, তোমাকে ভালোলাগতো অপুদা
আমি তো তোমাকে ভালোবাসতাম।
ধুর! বলতামই কী করে ?
তোমার তো তখন প্রেমিকা ছিল -- টুকটুকিদি,
টুকটুকিদি কি সুন্দর দেখতে
পড়াশোনায় কত ভালো , আর
আমার রূপ নেই, গুণ নেই
তুমি আমাকে ভালোবাসলে আমার বিশ্বাসই হত না।
আমি তো তোমাকে শুধু সুখী দেখতে চাইতাম ,
আমার সাথে যদি সেই সুখ হারিয়ে ফেলো
সেই ভেবে কথাগুলো বলা হয়ে ওঠেনি ।
জানো অপুদা তুমি রোজ বলতে
ভালোবাসা ভারসাম্যহীন, ভালোবাসা ভারসাম্যহীন
এখন বুঝি কারণগুলো কতটা সত্য।
আজ এতদিন পরে,
আমার পাশে একটু বসবে অপুদা ?
আমার মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দেবে?
আমি আজও তোমাকে পেতে চাইবো না ,
তুমি তখন টুকটুকিদির জন্য --
শয়ে শয়ে কবিতা লিখতে ,
আমি লুকিয়ে লুকিয়ে সবগুলো পড়তাম ,
আমার জন্যে ওরম একটা কবিতা লিখবে অপুদা?
আমার ভালোবাসা পূর্ণতা পাবে।