নীলাম্বর ভেজা সোনালী রোদ
জল ছিপ ছিপ করে নিঝুম বনে।
তরুলতা বাঁচে আলোর নেশায়
পোড়ামাটি সুখ খুঁজে অল্প ছায়ায়।
নীল বিষ ছেয়ে যায় ধূ ধূ প্রান্তর
হৃদপিণ্ড পুড়ে বের হয় কালো ধোঁয়া
ভাঙ্গা নৌকা ছেড়া পালে গন্তব্যে পৌঁছে
আগাছা বটবৃক্ষ আঁকড়ে তবু বাঁচে।
বুড়িগঙ্গার কালো জল আর কালো হয়
পুরনো বইয়ের মলাট ছিড়ে যায়
টিকটিকি লেজ হারায় অকালে বেখেয়ালে
শৈবাল তবু জায়গা খুঁজে নেয় পুরনো দেয়ালে!
দিয়াশলাইয়ের শেষ কাঠি জ্বলতে ব্যর্থ হয়
জোছনা ভেজা রাতগুলো গরমে শুকায়
ব্যাঙের ঘ্যাঙরঘ্যাঙ এ আসে বৃষ্টির পূর্বাভাস
পায়ে চাপা পড়েও তবু টিকে থাকে দূর্বাঘাস!
ঝর্ণার জল শুকিয়ে যায় অনাকাঙ্ক্ষিত খরায়
ধান ক্ষেত ভেসে যায় অকালে অযাচিত বন্যায়
জঙ ধরা বর্শা অজান্তেই বিঁধে হৃদয় মাঝে
দিনের সকল ক্লান্তি তবু ফুরোয় যেনো সাঁঝে!
কোকিলের ডাকে প্রকৃতি জুড়ে বসন্তের নিবেদন
জানালার ফাঁক দিয়ে ভোরের আলো খেলে
হাজারো খারাপ চাপা পড়ে কিছু কিছু ভালোয়
অমাবস্যার ঘোর কাটে যেনো জোনাকীর আলোয়!
১৩/০৬/২০১৯