( তোমায় ভেবে লেখা)
তীর্থের কাক হয়ে প্রহর গুনেছি কতো!
শীতল সমীরণে ভিজিয়েছি হৃদয়...
সুরলতা...অবশেষে দেখা দিলে তবে।
দিন শেষে-
আমার কর্কশ কন্ঠ হয়েছে সুর-মধুর।
হিমেল হাওয়ায় বুকে আনন্দের কম্পন,
চিরন্তন সুখ যেনো আমার তালুবন্দী।
শায়িত সূর্যের রক্তিম আভায় তুমি অন্নপূর্ণা,
আমি মত্ত তোমার প্রেম-পূজায়!
শারদের জোছনা ভেজা শেষ রাত হয়ে,
সুরলতা...অবশেষে দেখা দিলে তবে।
তোমার চোখের আলোয় আমার কেটেছে অমানিশা,
প্রজ্জ্বলিত উচ্ছ্বাসের দীপ।
তোমার স্পর্শে দেহে প্রাণের সঞ্চারণ,
শিহরণ জাগানিয়া সময় উল্লাসে হারায়।
তোমার সৌরভে মুগ্ধ আমার খোলা বাতায়ন,
প্রেমবিলাসী হিয়ায় ঘটে অস্থির আন্দোলন।
অতঃপর-
ঘোর কাটে নিয়তির সমীকরণে,
বাস্তবতার পাতায় জন্মায় আতঙ্ক।
আবেগের তীব্রতা ক্রমে কমে,
আশংকা বাড়ে সময়ের ক্ষীপ্রতায়।
ঝড়ের বেগে এসেছিলে হৃদয় মাঝে,
বিদ্যুত গতিতে করবে প্রস্থান।
মৃত্তিকায় মিশে যায় প্রাণবন্ততার নির্যাস,
সময়ের আবর্তনে হৃদয়ের চন্দ্রগ্রহণ।
মনে আঁকা প্রশ্ন ছুড়ি ভাগ্যের কাছে,
চলেই যখন যাবে, এসেছিলে কেন তবে, সুরলতা?
কিন্তু মহাকাল সংকেত দেয় বারে বারে-
তুমি তো দু'দিনের অতিথি মাত্র!!
১৮/১০/২০১৬