বুক পকেট থেকে হাতরাতে হাতরাতে
চশমাটা বের করে পরে নিলাম।
এখন দু'হাত খুব কাঁপে।
ঝাপসা দুনিয়া স্পষ্ট হয় কৃত্তিম চোখে।।
শ্বেত বসনা অপরিচিতা নারী,
বয়সের ভারে নত আমারই মতো।
লাঠিতে ভর করে রাস্তা পারাপারে মগ্ন,
ব্যস্ত নগরীতে এতে অনেক ঝুঁকি!
বয়স্কা মহিলা একা রাস্তায় পেরোয়!
কপাল কুচকাই! আবার হাসি।
আমিও তো বেরিয়েছি একা।।
অতঃপর দু'কা হয়ে রাস্তার ওপারে।
ভাঙা কন্ঠস্বরটা লাগলো খুব চেনা চেনা
কথার ছলে খানিক গল্প।
সময় চলে গুটি গুটি পায়ে গন্তব্যের দিকে!
"ওহ! আপনার নামটাই জানা হলো না!"
"নীরু! ওহ! নিমতলার নীরু??"
চল্লিশ বছর পর হাজারো প্রশ্ন জাগলো মনে,
কিন্তু প্রহর যে তলানীতে এসে ঠেকে।
"ধন্যবাদ! ভালো থাকুন!" এ গল্পের শেষ।।
চশমা চোখেও ঝাপসা হয়ে আসে সব
ফিরে দেখা ফেলে আসা দিন
মরে যাওয়া কিছু দীর্ঘশ্বাস উঁকি মারে!
সেই যৌবন বেলার নীরু!
অঙ্কুরেই বিনষ্ট যে ভালোবাসার ভ্রুণ!
জিজ্ঞাসা জাগে জীর্ণ প্রাণে
নীরু কি বুঝে নি আমার ঘামের ঘ্রাণ?!
আমি তো পেয়েছি চিরচেনা চুলের গন্ধ।।
আমার দাদুভাইয়ের স্কুল ছুটি হলো,
রিক্সায় চড়ে তাকে ধরে বসি। হাত কাঁপে।
বুকও কাঁপে। আজ যে বহুকাল পর....