শ্রাবণে বাদল দিনে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি পড়ে ঝরে;
জানালার পাশে বসে শুনি তাই শ্রাবণের গান।
আকাশের বুকে মেঘ খেলা করে সারাদিন ধরে;
গাছে গাছে ডালে ডালে বিহঙ্গেরা করে কলতান।
গ্রীষ্মের ভ্রুকুটি থেকে পরিত্রান পেয়েছে সকলে;
চারিদিকে সবুজের সমারোহ দেখব আবার।
বৃষ্টি থামে রোদ্র ওঠে সবকিছু লাগে ঝলমলে;
এমন বাদল দিনে দহনের ভয় নেই আর।
কালো মেঘ সরে যায় মাঝে মাঝে উঁকি দেয় রবি;
আকাশের কোণে দেখি অপরূপ রামধনু শোভা।
ছেলেবেলা ফিরে আসে, আঁখিদ্বয়ে ভাসে কত ছবি;
হৃদয় আনন্দে মাতে খুঁজে পাই প্রশান্তির প্রভা।
শ্রাবণে বাদল দিনে বসে আছি জানালার পাশে;
হৃদয়ে আনন্দধারা বয়ে য়ায় আমি পরবাসে।
© দীপঙ্কর সাধুখাঁ
রচনাকাল: ৫ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
ইংরেজি: ২১শে জুলাই, ২০২৪।
----------------------------------
চাঁদ তুমি সারারাত জেগে আছো কেন?
তবে কি কাউকে খুব ভালোবাসো তুমি,
তুমি এক রাজ্য হারা রাজকন্যা যেন;
রাজত্ব করবে জয় মুক্তি হবে ভূমি।
মাঝে মাঝে মনে হয় তোমাকে ফ্যাকাশে;
প্রেমিকের প্রতীক্ষায় জেগে আছো তবে?
সারারাত এইভাবে চলবে আকাশে;
মনের মানুষ খোঁজো একলা নীরবে।
রাতের আকাশ থাকে তোমার দখলে:
সকলেই মুগ্ধ হয় তোমার আলোতে।
কত লোক চাঁদ দেখে কত কিছু বলে;
সত্যি রোমান্টিক তুমি সকলের মতে।
তোমার আলোতে তুমি অতীব সুন্দর;
সকলেই ভালোবাসে তুমি নও পর।
---------------------------------
চোখ বন্ধ করে দেখি কত কিছু ঘটে পৃথিবীতে;
হানাহানি, মারপিট, দাঙ্গাবাজি মানুষকে মারে।
অভিজাত সম্প্রদায় বসে আছে অর্থের গদিতে;
অর্থ কড়ি জমিয়েছে ইচ্ছামতো ক্লান্ত তার ভারে।
ছলে বলে কৌশলে হাতিয়েছে অন্যের প্রশান্তি;
আরো চাই আরো চাই বলে তারা, নেই দেশ ভক্তি।
শরীরে বেঁধেছে বাসা রোগ ব্যাধি, মনে নেই শান্তি;
অর্থের পিছনে ছুটে সারাক্ষণ হারিয়েছে শক্তি।
মাটির পৃথিবী পানে চেয়ে দেখি কত লোকজন;
কাজ করে দিনরাত নিয়ে চলে দেশকে এগিয়ে।
সারাক্ষণ কাজ করে প্রশান্তিতে ভরে থাকে মন;
সভ্যতাকে রক্ষা করে নিজেদের তাজা রক্ত দিয়ে।
সকলের পাশে ওরা আছে যুগ যুগান্তর ধরে।
দেশের হিতার্থে ওরা দিনরাত ধরে কাজ করে।