যখন আবার পাঠকনামা নিয়ে ফিরবো ভাবলাম তখন মাথায় ভিড় করে এলো অনেক অনেক কবির নাম, পছন্দের কবিতা আর কবি জীবন। এ কবি কে দিয়ে শুরু না করে আমি নিজেকে আটকাতে পারলাম না। হ্যাঁ, কবি সমীর রায়চৌধুরী ( নভেম্বর ১, ১৯৩৩ -জুন ২২, ২০১৬ ); হাংরি আন্দোলনের এই পুরোধা ভাবনার ভিতরে গিয়ে আঘাত করে বলা চলে চাবুক চালায়। কবির সম্বন্ধে  যা বলা হোক না কেনো তা কম হয়ে যায় তবু তার জীবনের কথা কিছু পাবেন এখানে

(https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6
%AE%E0%A7%80%E0%A6%B0_%E0%A6%B0%E0%A6
%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%9A%E0%A7
%8C%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7
%80)

কলেজ জীবনে কৃত্তিবাস গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ছিলেন। ১৯৬১ সালের নভেম্বরে তিনি ছোট ভাই মলয় রায়চৌধুরী, শক্তি চট্টোপাধ্যায় ও দেবী রায় (প্রকৃত নাম হারাধন ধাড়া )-এর সঙ্গে হাংরি আন্দোলন শুরু করেন। হাংরি আন্দোলন-এর কারণে ১৯৬৪ সালে তিনি গ্রেপতার বরণ করেন, যদিও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ না থাকায় অচিরে মুক্তি পান। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি তরুণদের বিপথগামী করছেন (ভারতীয় দণ্ড সংহিতার ২৯৪ ধারা)।

কৃত্তিবাস গোষ্ঠিতে যুক্ত থাকার সময়ে তাঁর দুটি কাব্যগ্রন্হ প্রকাশিত হয়েছিল: ঝর্ণার পাশে শুয়ে আছি এবং আমার ভিয়েৎনাম। ১৯৬৫ সালের পর কবি প্রায় তিন দশক লেখালিখি থেকে দূরে সরে ছিলেন । ৯০ দশকে পর তিনি আবার লেখালিখিতে ফিরে আসেন।


সমীর রায়চৌধুরীর মতে, "অধুনান্তিক কালখণ্ডে কবিতার ভাষা হবে রাইজোম্যাটিক, অর্থাৎ তাঁর বহু শিকড়—বহু জন্মবিন্দু, একেক ভাবে তাকে দেখা যায়—একেকভাবে তাকে ইন্টারপ্রেট করা যায়— একই পাঠ্যবস্তু বা টেক্সট্‌ থেকে বহু টেক্সট্‌ জন্ম নিতে পারে। একটা পর্যায়ে কবিতার টেক্সট্‌ও আর শুধুমাত্র কবিতার নিজস্ব সম্পত্তি হিসেবে থাকবে না। তার মধ্যে ঢুকে পড়বে গল্প-প্রবন্ধ-চিত্রকলা-সিনেমা-বিজ্ঞাপন— অর্থাৎ কবিতা হয়ে উঠবে ‘ওপেন এণ্ডেড’; মুক্তমুখী, তার কোনো সীমানা নেই, তার কোনো বাঁধা ছক নেই, তার কোনো নিয়ম নেই, তার কোনো একক অর্থ নেই।"

কাব্যগ্রন্হ: ঝর্নার পাশে শুয়ে আছি, আমার ভিয়েতনাম, জানোয়ার, মাংসের কস্তুরীকল্প, পোস্টমডার্ন কবিতাগুচ্ছ, বিদুরের খড়ম, নির্বাচিত কবিতা ।
ছোটগল্পের বই: সিগারেটের তিরোভাব ও অন্যান্য, ছাতা হারানোর বর্ষাকালীন দুঃখু, পোস্টমডার্ন গল্পগুচ্ছ, খুল যা সিমসিম ।
প্রবন্ধের বই: কবিতার আলো অন্ধকার, পোস্টমডার্ন কবিতা বিচার, পোস্টমডার্ন বিড়ালের সন্ধানে, উত্তরাধুনিক প্রবন্ধ সংগ্রহ ।

(http://bookpocket.net/archives/lekha/samir-roychoudhury)
(https://www.youtube.com/watch?v=7iVAZ-6uJ5M)


নিত্যযাত্রী -- সমীর রায়চৌধুরী

যেভাবে একফালি মেঘের জলদেশে কিছুকাল থেকে আসে
ঝর্ণার আপেলবাগান পেরিয়ে-যাওয়া,
গা-বাঁচানো যানজট বা সাজানো পথ অবরোধের সঙ্গে পেরোতে-চাওয়া
সময়ের সম্পর্কের কথা আমরা জানি ;
কেননা সেষাবধি ঈশ্বরও দুরকমের হয়, হয় সে মানুষের মত দেখতে
নয়তো কোনো কিছুর মতো দেখতে নয়, অর্থাৎ যাকে বলা হয় নিরাকার…
সাবঅ্যাটমিক লেভেলে বাড়তে থাকে ফাঁক দিয়ে গলে যাওয়ার মনোভাব
নটা পঁচিশের যানজটে আটকে যায় রিঙ্কুদের স্কুল যাওয়ার-সময়
মিস্টার সান্যালের অফিসটাইম ভবতোষবাবুর কার্যক্রম
পিছিয়ে যায় পথের ধারের গাছটিতে ফুল আসার সময়
আর বেশ কিছু সময়মনস্ক কীটপতঙ্গের বিলিব্যবস্হা,
যেভাবে ফল-ঠোকরানো পাখিদের তোড়জোড়
স্হিরভুলুনি প্রজাপতিদের উড়ে যাওয়ার দিকে লক্ষ্য রাখে…
গণিতেও একইসঙ্গে কথা ওঠে সসীম অসীম আর অপরিমেয় সূক্ষ্মের
গাড়িঘোড়া শব্দটি থেকে ঘোড়া বেরিয়ে চলে যায় নিখিলের আস্তাবলে
তবু জানা হয়ে ওঠে না অনিত্যযাত্রী নারদের বাহন কেন ঢেঁকি শীতলার গাধা
যানচলাচল ইশারাময় করে তোলে ট্র্যাফিক সংকেত পৈচনে খালাসি
পথঅবরোধের সঙ্গে দূরদর্শীরা মিলিয়ে দেন পারানির কড়ি…
মর্ত্যধামে মার খাচ্ছে সুধীরের অটোরিক্সার খেপ তার কামাবার সময়
তবু সম্পর্কের জটিলতার ঈষৎ হদিস দিতে
পেছনে লেখা আছে ‘বৌদির আশীর্বাদ’



টুথব্রাশ সম্পর্কে যে-সব কথা এখনও বলা হয়নি -- সমীর রায়চৌধুরী

প্রশ্ন উঠতে পারে একটা টুথব্রাশে ঠিক কত মাত্রায় শ্রমদিবস আছে, ঐ টুথব্রাশের সঙ্গে জযিত আছে কিনা দারিদ্ররেখার নিচে থাকা কোনও শ্রমিকের এলোমেলো সংসারের ঝড়ঝাপটার অনুপস্হিতি আর অনিচ্ছাকৃত লেটমার্ক, ঠিক কতখানি পুঁজি নিয়ে শুরু হয়েছিল এই বহুজাতিক টুথব্রাশের নির্মাণ-প্রক্রিয়া, কিংবা যে সেলকাউন্টার থেকে বাছাই করে আনা হয়েছে সেই ব্রাশগুলি কতদূর প্রতিযোগীতামূলক এও ভাবা যেতে পারে ব্রাশের অ্যা২গুলার গঠন আমাদের আর্সেনিকগ্রস্ত জলে কতখানি আশাব্যঞ্জক, যদিও ভয় আমার টারকোইশ আর পিকক ব্লুর মাঝামাঝি রঙের আদরের ব্রাশখানি সামনের সপ্তাহে ঠিক হয়ে থাকা যুথিকার বিয়েতে কারো সঙ্গে মিশে না যায়, তবে কুষ্ঠিবিচারে হয়তো দেখা যাবে ভোপালে বেড়াতে গিয়ে হোটেলে ফেলে আসার একটা আবছা সম্ভাবনার ইতস্তত উঁকিঝুঁকি, অথচ ব্রাশ সম্পর্কে প্রধান বিচার্য মাড়ি আর দাঁতের সঙ্গে কিছুকাল যুৎসই হওয়ার দাবি যা এই ভরসাবাতিল দিনকালে শেষ পর্যন্ত কতটা ধোপে টিকছে কে জানে, কেন না যতদূর শোনা যায় সেসব রানিং প্র্যাকটিস ডেনটিস্টের কাছে এই ব্রাশ কোম্পানির প্রতিনিধি যায়নি তাঁরা হয়তো বিনা বাক্যব্যয়ে বলে ফেলবেন, টুথব্রাশটি সত্বর ফেলে দিতে, হয়তো দেখা যাবে আক্কেল দাঁতের দিকে যাওয়ার সময় চারিত্রিক কারণে এই টুথব্রাশের এপাশ ওপাশ হওয়ার মতিগতি ঈষৎ পালটে যায়, লক্ষ্য রাখা দরকার ব্রিসলগুলো স্বভাবগুণে ইঁদুরবান্ধব, পরখ করা যেতে পারে ব্রাশটার অচেনা গঠন আর হালফিল রঙের শেড দিয়ে আপনার চোখ-ছলছল ছোটো মেয়েটাকে কালে ভদ্রে ভোলানো যাবে কিনা, কিংবা দাঁতের অযোগ্য হয়ে ওঠার পর চুলের কলপে কতটা কাজে লাগবে ; হয়তো শেষমেশ দেখা যাবে আপনার স্ত্রী যেখানে ব্যবহৃত জড়ো করেন সেখানেও ঢুকে যেতে পারে ভবিষ্যতে দুটো পয়সার চিন্তায়, অবশ্য এই টুথব্রাশ সম্পর্কে একটা কথা এখনও বলা হয়নি মানে চাঁদের উল্টোপিঠে যে চন্দ্রযান গিয়েছিল সেই প্রযুক্তির ভাসাভাসা স্পর্শে এই বেস্ট সেলার অভিনব ব্রাশ দাঁতের এবড়ো-খেবড়ো উল্টোদিকে অনায়াসে চলে যেতে পারে ঠিকমতো স্ট্রোক আর মুভমেন্ট জানা থাকলে — তবে মুশকিল এই যে ঝাঝা স্টেশানে ভোরবেলার ট্রেনের জানালার দিকে কটা পবসার জন্য যে ছেলেটা একগোছা দাঁতন বাড়িয়ে দেয় তার কাছে আমাদের ধোপদুরস্ত স্বভাববদলের খবর এখনও পৌঁছে দিতে পারিনি…

অঙ্গস্বভাব -- সমীর রায়চৌধুরী

আজ কেউ আসবে কলিংবেল বেজে উঠবে দুবার
কোনো এক সময় সহসা ডেকে উঠবে নিরিবিলি কাক
মাধবীলতার লাল ফুলগুলো অন্ধকার ঘনিয়ে এলে সাদা হয়ে উঠবে
দেখা না পেয়ে নতুন কবিতার বই আমার টেবিলে রেখে কবি ফিরে যাবে
অচেনা ট্যাক্সির ধাক্কায় পাড়ার চেনা কুকুর থেঁতলে পড়ে থাকবে
হঠাৎ বেপরোয়া গুলি চলবে শিল্পায়নের বড় জরুরি প্রয়োজনে
অকস্মাৎ প্রিয় নেতার ভাবমূর্তি স্বভাবত রসাতলে যাবে
প্রিয় খেলোয়াড় গো-হারান হেরে মাঠ থেকে অসাফল্যের যুক্তি নিয়ে ফিরবে
প্রিয় নারী কোনো এক পুরনো অভিমানে পাশ ফিরে শোয়
অনিশ্চিত আর সুনিশ্চিতের গোপন নিজমূর্তি ধরবে,
বাঁ চোখ নাচছে…

টেক্কা বিষয়ক জটিলতা –- সমীর রায়চৌধুরী

যাঁরা নিয়মিত তাস খেলেন বা তাসখেলার মারপ্যাঁচ দেখে আসছেন
তাঁরা লক্ষ করেছেন ব্রিজ রামি ব্রে তিন তাস
বিন্তি ফিশ টোয়েন্টিনাইন তাসের অনেক ভূবন
কখনো টেক্কা বিশ্বজয়ী তুরুপের তাস
কখনো গোলামের চেয়ে খাটো আবার দহলার চেয়ে মানমর্জিতে বেশি
কখনো হরতনের টেক্কা চিড়িতনের টেক্কার চেয়ে কেউকেটা
কখনো কাগাবগা চুনোপুঁটি
যত খেলা বদল হয় পালটায় টেক্কার কদর আর তার প্রাণপ্রাচুর্য
যে কোনো রাউন্ড খেলার শেষে শুরু হয়ে যেতে পারে
রুইতনের টেক্কা নিয়ে ভয়ংকর বিতর্ক
একটা  অবস্হানকে বলা যেতে পারে ইসকাপনের টেক্কা ফেলার যথাসময়
একটা খোপকে সনাক্ত করা যায় হরতনের টেক্কা পাশ করে যাওয়ার অবসর
মনে হতে পারে পিট পাওয়া নিয়ে শুরু হয়ে গেছে
হাইজেনবার্গ আর শ্রোয়েডিংগারের মধ্যে জগৎ বিচারের মৌল মতান্তর
আমরা জেনে গেছি দুরকমের উঠকিস্তি প্রত্যেক রাউন্ডে অসংখ্য সম্ভাবনা
কখনো মানুষ উঠবে সিঁড়ি থেকে যাবে স্হির
কখনো সিঁড়ি ক্রমাগত উঠে যাবে মানুষ নড়বে না
তবে ক্রমশ এভাবে নিশ্চিত হওয়া যায় চারটে টেক্কার
কোনো সুনিশ্চিত হাতযশ নেই
আর তাসখেলা কোনো সরলতা পরখ করার আয়োজন নয়
কেননা শেষাবধি সংশয় থেকে যেতে পারে
চিড়িতনের পাঁচ পিটের পর হরতনের টেক্কা বের করা ঠিক ছিল কিনা…


অধুনান্তিক –- সমীর রায়চৌধুরী

যারা আস্ত রসগোল্লা একবারে মুখে পুরে দেয়
আর যারা ছোটো করে ভেঙে থেমে থেমে খায় অথবা
চারটে নিলে এক-আধখানা এঁটো প্লেটে ফেলে রাখে
সেইসব আচরণের সামাজিক অবস্হান নিয়ে ভাবতেন রোলাঁ বার্থ
তিনি বঙ্গসংস্কৃতির রসগোল্লার সঙ্গে পর্তুগিজ অভিযাত্রীদের
মিষ্টান্নপ্রীতির খুঁটিনাটি সূত্রগুলি জানেন, যেভাবে রসগোল্লার সঙ্গে
ইউরিয়া বা চিনি-কেলেঙ্কারির হদিশ রাখেন স্বাধীনোত্তর সাংবাদিক লবি
অথবা বাতাসার সঙ্গে ঈশ্বরের আরাধনার যোগসূত্র জানতেন পতঞ্জলি
রসগোল্লার সঙ্গে কমলাভোগের বা রসমুন্ডির পার্থক্যকে
হালুইকর ও মোদক সম্প্রদায়ের জাতিগত ইতিহাসের দিক থেকে
দেখা হবে কিনা সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কে অনায়াসে
নিয়ে যাওয়া যেতে পারে পিছড়াবর্গ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে
বস্তুবাদী দ্বান্দ্বিকতার সম্পর্কসূত্র একসময় জানতেন মাননীয় সুভাষ চক্রবর্তী
অবশ্য ভবাপাগলা বলে গেছেন রসগোল্লার সঙ্গে আমেজে
গোল্লায় যাওয়ার সম্পর্ক নিছক রসবোধের যার জ্যামিতিক
সাদৃশ্য-বর্ণনা পাওয়া যাবে গোল-গল্পে বা গোল-কবিতায় তবে
লেডিকেনির বদলে যাঁরা রসগোল্লা ভালোবাসেন
হলফ করে বলা যায় তাঁরা কোনোমতেই আর যাই হোন বর্ণবিদ্বেষী নন
কেননা আগ্রহের বা উদগ্রীবের যাবতীয় কূটরহস্য রাখা আছে
লোকায়ত অন্ধকারে উৎবিড়ালরা অহোরহ যেখানে অতর্কিতে হানা দেয়…


চিড়িয়াঘর –- সমীর রায়চৌধুরী

কবিতার পাখি
তুমি কোনোকালেই জীববিজ্ঞানের পাখি নও
শ্বেনপক্ষী শুকপাখি গড়ুরের বংশজ তুমি
অ্যাখ্যানমর্মরে ঝরে তোমারই পালক
তুমিই তো বারবার বাকসিদ্ধ হয়েছ ছাপ্পান্ন ভোগে
একান্নবর্তী পরিবারের নিসর্গভরসা
পরিযায়ী তুমি যে দিকে যাও তোমারই অপেক্ষায়
বিষধর একমাত্র হাওয়ামোরগ
আজো শব্দ ঠুকরে খেয়ে বেঁচেবর্তে আছো


ছন্দ –- সমীর রায়চৌধুরী

প্রত্যেক বাক্যের মধ্যে কিছু শব্দ পাশ ফিরে থাকে
প্রত্যেক শব্দের মধ্যে কিছি অক্ষর থেকে যায় স্বল্প উচ্চারণে
কিছু উপসর্গ প্রত্যেক ধাতুর সম্পর্কে থেকে যায় অর্থবিহীন
বুঝ আর অবুঝের মধ্যে বোঝাপড়া রাখে কার্যসাধিকা
নীলুদের সংসারে ছোটোমাসি মুখ বুজে কাজ করে যায়—
জটিলতার কাছে সোপর্দ রয়েছে
গতির অরৈখিক নকশা
অংশ-প্রীতি, ঘুম
যেভাবে বিশৃঙ্খলা ছন্দের মুখোশ।

ওয়ে ওয়ে -- সমীর রায়চৌধুরী


পাগলি কানে কানে বলে
খেয়ে সুখ নেই
পরে সুখ নেই
ঘুমিয়ে সুখ নেই
ওরে…
প্রাণ ভরে গান গাইতে চেয়েছিলাম
গান তো হল না


সব দেখে শুনে
নিরাপত্তার খাতিরে
মা আমাকে রেখে গেছেন
বৃদ্ধাশ্রমে
কই
মা আর দেখতে আসেনি
কে বলবে
তুই ভালো আছিস বাবা ?


মন্দিরের গায়ে কেউ আর ভালোবাসা খোদাই করে না
ভালোবাসানিয়া উলকি আঁকে বুকে
চিবুকে পিঠে তলপেট নিতম্বে মাংসে
তোমরা যারা দৃশ্য ভালোবাসো
ছবি ভালোবাসো
এসো
মাংসে আসার আগে
উলকি পেরোও


কুকুরের গল্প -- সমীর রায়চৌধুরী

একটি টিনের চাদরের ঘষটানি থেকে উঠে আসছে
একটি কুকুরের আর্ত চিৎকার
আর্ত শব্দের মধ্যে থেকে যাচ্ছে একটি বিপন্ন রেফ
একটি সংঘর্ষের পরিমিত ধ্বনিবাহকতা
আততায়ী বা অমসৃণ দ্বিতীয় পক্ষের উপস্হিতি
যেভাবে ধাতুসম্পর্কে নিহিত রয়েছে গোলাপের বর্ণসংকেত
কিছুক্ষণের মধ্যেই এসে পড়বেন চিদানন্দ সোম
তিনি যেহেতু সারা জীবন কুকুর পুষেছেন
তাঁর বিশ্বচরাচরের গল্পে সারাক্ষণ ঘুরে বেড়ায়
এক মহাজাগতিক অলৌকিক ছিটকুকুর
সে গল্প চিদানন্দকে পোষ মানায়…
আর্ত শব্দটীর প্রতি সমর্থন তুলে নেওয়ার মুহূর্তে
টিনের চাদরের ঘষটানির সংবাদ থেমে যেতে চায়…


আনছে কলস হচ্ছি নোসদ -- সমীর রায়চৌধুরী ( কিছু লাইন)

ভরা বাদলে পাঙ্ক রক
হার্ড রক
টেরর মিউজিক
ফৌজি পোশাকে জঙ্গি
মেঘমল্লারে
ভাঙছে
মেঘ
রাতদুপুরে মাফিয়ারাজের কোটালি আতঙ্ক
.
.
.
.


বল্লেন যাহা জম্বুবান -- সমীর রায়চৌধুরী (কিছু লাইন ...)

দাম্পত্য ... তুমি সহজে বিষয় থেকে বিষয়হীনতায় চলে যাও
ক্ষমতা ... তুমি অনায়াসে জনপ্রতিনিধি তছরুপকারী আর খুনের আসামি
শিল্প ... তুমি বোধ ও অবোধকে একই বর্ণের আস্তরণে সাজিয়ে রেখেছ
.
.
.
.


ষাট বছরের তেরছা ওম -- সমীর রায়চৌধুরী

ষাট বছরের জমাখরচের হিসেব রেখে
কবিতার শব্দ গা ঢাকা দিয়েছে সন্ত্রাসবাদী শিবিরে
স্রোত যেতে চায় সমুদ্রের দিকে মাছেরা যায় স্রোতের বিরুদ্ধে
মতান্তর নিয়ে পরিযায়ী স্বভাব আসে সীমান্ত পেরিয়ে
পকেটে জালনোট নিয়ে কমরেড ফুচকা খায় শহিদমিনারে
নীল পাগড়ির আড়ালে এলোচুলের বেহিসাব গোপন রাখে জনশীর্ষ
নকশালেরা করিডর গড়ে চলেছে সন্তর্পণে
সাদা পাউডার বেচছে বাড়ির কাজের মেয়ের মেজছেলেটা
ব্রেকিং নিউজে উঠে আসছে বমধামাকা আতঙ্কবাদী হামলা
নিম্নচাপে উড়ে আসা মেঘ জানে জল তার চক্রে ফিরে যাবে
উচ্চতার দখল মেনে সিয়াচিনের নির্জন বরফের বুকে তেরঙ্গা উড়ছে
বিপন্নতার অনুপাতে কবিতার কাগজের সংখ্যা বাড়ছে—
কবি ভাবছেন রবিশষ্য ভাষান্তরে সমধ্বনিমনস্কতা মেনে কর্ন
যে কী তবে নিখোঁজ স্বজনের খোঁজ সীমান্ত পেরিয়ে
সূর্যেরব ঔরসে যেভাবে মহাকাব্যে দেখা দেয় কুন্তীপুত্র কর্ণ
জ্যামিতির শর্ত নিয়ে সময়-নিরপেক্ষ শব্দের অন্তরে…
জমিজিরাত।


একটি বহুরৈখিক টেক্সট -- সমীর রায়চৌধুরী

তাহলে দুর্গাপুর থেকে আজই ফিরলেন আর ওই রজতশুভ্র

আমি তো মিনিং ব্যাপারটার একেবারে দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছি

একটা বিশ্বব্যকরণের যোগান অর্থবোধকতা খুঁজছে বানান

দুর্গাপুরে কি পাত্রী দেখলেন নাকি কবিদের সঙ্গে

রথীনের বোউ বেশ ছোটো সাইজের ভুত আর চোরের ভয়

যেভাবে চিনির শিশি খুঁজে বের করে একরতি পিঁপড়ে

বুঝে ফেলাকে যে-জন্যে বলা হয়েছিল অবগতি

এবার প্লেটোর গুহার বিপরীত দিকে

ওই রসুলপুর সেই ব্রাশ ফেলে যাওয়ার স্মৃতি মেলডি

ঘটনা স্হির দর্শক গতিময় ঘটনা দর্শক খুঁজছে

কপালে একটা ছোট্ট কাটা দাগ আর সব ভাল মেয়েটার কী হল

বৈদ্যবাটির হাইটটা কম তবে হাতে রেখেছেন তো

ছেলে কী বলছে কোয়ান্টাম নিয়ে ভাবছে কেরিয়ারিস্ট

প্রেম করার সময় নেই

সেই যে মাছধরা ট্রলারের ডেরিকে দাঁড়িয়ে দেখেছিলেন অচেনা পাখির ঝাঁক

সম্ভাব্য সফলতার নিশ্চয়তার চিরকুট

রজতশুভ্র নতুন কিছু লিখছে নাকি এখনো সেই রসুলপুর

ধরুন আনন্দ কত রকমের এক গোলে জেতার অনন্দ

লোডশেদিঙে আচমকা ফিরে আসা আলো

পুরোনো প্রেমিকার সঙ্গে হঠাৎ উল্টোদিকের বাসের জানালায়

কুড়িয়ে-পাওয়া পঞ্চম জর্জের আধুলি রসুলপুর মানে

একটা কিছি ভর করলেই মুশকিল

মিনিং থামতে জানে না না কোনো শেষ-কথা নেই…


মাংসপরখ -- সমীর রায়চৌধুরী

মাংসের ভুতুড়ি বেরিয়ে যাচ্ছে

আঙুলের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে স্তনমাংস

ঠোঁট ঘুরপাক খেতে খেতে মাংস বেছে নিচ্ছে

এক এক জায়গায় ঠোঁট নেমে আসছে মাংসের বাদবিচার

যেন পুরোটা শেফালি নয় শেফালিই তো

মুখে মাংসের চুল লাগছে মুখে মাংসের মসৃণ ঠেকছে

মুখে মাংসের হাড় ঠোঁট ঘুরপাক খাচ্ছে

স্তনের চারপাশ দেখে নিচ্ছে ঘাড়ের চারপাশ দেখে নিচ্ছে

বগলের পাশ দিয়ে যেতে যেতে ঠোঁট ফিরে আসছে

ঠোঁট খুঁজতে খুঁজতে চাইছে

ঠোট দিয়ে মাংসপরীক্ষা সেরে নিচ্ছে আমার মাংস

ঠোঁটের অধীন আমার মাংসব্যবস্হা

আমি ও আমার ঠোঁট অস্তিত্বের জট খুলে রাখছে

ঠোঁট মাংসব্যবস্হার মধ্যে তার বখরা সুনিশ্চিত করে তুলে

আমাকে ঠোঁটের অধীন ঠোঁটের কাঠামোয়

এখন আমি বলতে শুধু ওষ্ঠদ্বয়

বীজ স্হাপনের আগে বিস্তৃত চিৎ ভূস্হল পরখ করে নিতে

রসায়নবিদ্যাসহ ঠোট ঘুরছে


সংস্কৃতি -- সমীর রায়চৌধুরী

ফার্নিচারের দোকানে চেয়ারের হাজিরা ছিল সরাসরি ব্যবসাদারির

খদ্দের আর দোকানদারের গজিয়ে-ওঠা দরদাম

এক অপেক্ষমাণ পণ্য

ছিল মালিকানার অন্বেষণ

অর্থময়তার তাগিদ

আটমাত্রা ছিল দোকানির

ছমাত্রা যোগ করলেন ক্রেতাবিশেষ

বেচাকেনা-কাটতি প্রথক শব্দমালার অধীন

প্রতিমূহূর্ত ক্রয়লেখায় প্রদর্শনযোগ্য

যেমন ক্যাশমেমো নেই কালানুক্রমিকতায় চেয়ারের সমর্থক

তারো আগে কাঠ শ্রম পালিশ সময় সংখ্যা

বা তোরে আগে কেবল অনিশ্চয়তায় সম্ভাবনার প্রস্ফুট

এখন এই রেস্তোঁরায় ক্যাশমেমো বলতে চা টোস্ট ওমলেট

আপ্যায়নের সাময়িকতায় বিশিষ্ট

খদ্দের খুঁজছে অথচ নিজের জন্য নয়

যেভাবে সম্ভাবনা অনিশ্চয়তায় প্রস্ফুট

যেভাবে আরামকেদারা হয়ে উঠেছিল রক্ষণকামী

স্বপ্নের চেয়ে স্মৃতি রোমন্হনে পটু

যেভাবে প্রতিমুহূর্তে জৈবিক হয়ে উঠতে চায় সাংস্কৃতিক !

হাতলওলা চেয়ারে পেয়ে বসে অহংকার


প্রাসঙ্গিক  -- সমীর রায়চৌধুরী

চুম্বকের ঠিক মাঝখান থেকে ঘুমন্ত জলাশয় ভেসে ওঠে

ক্রমশ ফুরিয়ে-আসা জন্মদিনের মোমবাতি দ্রুত নিভিয়ে দেয়

বিষুবরেখার কাছাকাছি দুপুর হলে বর্ষা নামে

একটা ছটফটে ঢেউ মুঠোয় তুলে দেখে নেয়

চুম্বকের ঠিক মাঝখানে আছে আকর্ষণ আর প্রত্যাখ্যান

এক-এক সময় তারা শুধু পোশাক বদল করে

একজন যখন রাতের পোশাকে সাজে অন্যদিক তখন স্বপ্নভাঙার ঘোরে

ঘুমন্ত জলাশয়ের গল্প শোনায় কেননা দিকচিহ্ণ যার নাগালপ্রিয়

তার কোনও মধ্যবিন্দু আছে কি না আর যদিও বা থাকে

সেখানে সেই আকর্ষণ ও প্রত্যাখ্যান কীভাবে পাশ ফেরে

কেননা শেষ ট্রেনের প্রসঙ্গ এলে পাশাপাশি একটা তারিখের কথা ওঠে



নিজস্ব রোদের জন্য  -- সমীর রায়চৌধুরী

নতুন বাড়িটাতে যেদিন প্রথম বিকেলের রোদ এসে

জীবনের খোঁজ নিয়েছিল

সেদিন থেকেই এবাড়ির নিজস্ব রোদ

নিজস্ব হাওয়া বাতাস মেঘলার জন্ম

সবকিছু যা একান্তই এবাড়ির

যেভাবে কিছু রোদ কিছু বৃষ্টি নিয়ে বেঁচে থাকা সংসার চায়

যেভাবে স্হানিকতা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে চায় মহাভাষ্য থেকে

যেভাবে ব্যক্তিগত রোদের কাতরতা নিয়ে এক সময়

পশ্চিমের বারান্দায় অতসীলতাকে বাঁক নিতে দেখেছিলাম–

দেখেছিলাম রোদের জন্য ঠাকুমার হাপিত্যেশ

এখনো মনে পড়ে যায় দ্বারভাঙায় আমাদের ডাইনিং টেবিলে

চা পানের সঙ্গী এক চিলতে রোদ্দুর

স্কুলের ছুটির ঘন্টার সঙ্গে চলে যাওয়া রোদের অন্য এক সম্পর্ক ছিল

যেমন কিছু-কিছু ছায়ার সঙ্গে আমাদের নিভৃতের যোগাযোগ

যেভাবে কিছু রোদ কিছু ছায়া ব্যক্তিগত সঞ্চয়ে জমা পড়ে

যেভাবে স্হানিকতা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে চায় মহাভাষ্য থেকে।


চর্যামাংস  -- সমীর রায়চৌধুরী  

উপাসকের বিপরীত শব্দ ভিখিরি

ভালো শোনায় যদি বলা যায় ভিক্ষুক

ভিক্ষুক এলে ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে বৌদ্ধধর্ম

তার পেছনে দাঁড়িয়ে তন্ত্রসাধনা

ততক্ষণে উপাসকের বিপরীত শব্দ উপাসক

আরো ঘোর উপাসক

যে-লোকটা পৃথিবীতে প্রথম প্যাদানি খেয়েছিল সেই কবি

সে চেয়েছিল শব্দের দ্বিবিধ অর্থ কবিতার ডাবলমিনিং

নিম্নাধিকারী ও জ্ঞানীর জন্য একেবারে আলাদা

কেননা সে-ই টের পেয়েছিল মুখ ও মুখোশ

ঋণী ও মহাজন

প্যাঁদানি ও শুশ্রুষা–

সে জানে মারপ্যাঁচ

তারই জন্য অপেক্ষা করছে

পৃথিবীর সবচেয়ে হিংস্র চাবুক


আনুভূমিক  -- সমীর রায়চৌধুরী  

…আমার মা আজকাল দিনদিন ছোটো হয়ে যাচ্ছে…
একই স্পেসে আলাদা সময়ে
দুই তাসুড়ে
নবগাঁর জয়ন্তর চাঁদ আর উরুগুয়ের ফেদেরিকোর সূর্য
অনলাইনে তাস খেলছে
পিঠ কুড়োচ্ছে
যশোদার কোলে ভূমিষ্ঠ আনুভূমিক
বাড়ছে দেশকালের স্পর্ধা
ব্রিজ খেলছে
অঅসেতুসম্ভব সেতুবন্ধন

গোলাকার ভূমন্ডলে ঘটমান পৃধিবী ত্রিকোণ


কবিতার নদীর প্রেমিক কোলাহল
নির্জনতা কোলা হলের প্রেমিকা
ত্রিকোণ প্রেমের ফাঁদে
আজও নদী আঁকাবাঁকা


খেলনা-বাঁশি  -- সমীর রায়চৌধুরী  

নীরব আর কোলাহলের মাঝখানে মানুষের আলো…

অরা ফটোগ্রাফি আত্মপরিচিতির নতুন চিহ্ণ…

খেলনা-বাঁশি বায়না ধরেছে বাল;গোপাল…

পুরোনো বাড়ির আনাচে-কানাচে বুড়ি মাকড়সার রাজ্যপাট…

নৈঃশব্দ্যের থ… ওতপেতে আছে নগপদবাচ্য শব্দগুলি…

আদ্রতার উল্লোল… প্রত্যেক বেলুনের স্বপনএ মহাকাশ…

নদীর বাঁক তার ইচ্ছাকৃত নয়…

হলুদ হয়ে যে পাতা ঝরে গেল তাকে ভয়…

যে জানে নদীর স্বভাবে পরাজিত…

ধাতুগর্ভজল শব্দে, ছড়ালে বাঁশি বেজে ওঠে…

খেলনা-বাঁশির কোনো নিজস্ব আঙ্গিক নেই…

কেবল নিজস্ব আঙ্গিক জন্মান্তর মানে…

পূর্বপুরুষকে জল দেয়…

অক্ষর নিয়ে খেলি নিরঙ্কুশ মূর্ছনায়…

জীবন ও মৃত্যর মাঝখানে

শুধু ঐ খেলনা-বাঁশি

অচেনা মেয়েম,আনুষের গোপন

খেলনা-মুখোশ নিয়ে শিশুদের খেলা

নৈর্ব্যাক্তিক যামলসাধনায় মায়া…



দীপক কবে চাইবাসায় এসেছিল মনে আছে -- সমীর রায়চৌধুরী  

বিটুর যখন প্যারাটাইফয়েড হয়েছিল ঠিক তার পরে
সেদিন মধুটোলার বাড়িতে গরুটার কালো বাছুর হয়েছিল
প্রেসিডেন্সি কলেজের ড্রাগ খাওয়া ছেলে-মেয়েগুলো
ফিরে যাবার পরের রবিবার–
ক’দিন পরেই ছিল রাসযাত্রা

সন্দীপনদার বউ, ভাইয়ার হাতে বাবার জন্য মাছ পাঠিয়েছিল,
বাহাদুরনীর কাছে এক গ্লাস দুধ চেয়েছিল—
জানেন তো সকাল হলে ওর লাগে, তা না হলে
ফ্রেশ হয় না, গরমটা পেটে পড়লে তবে…
ফ্রেশ হলে ওর কথা শুনবেন,
দেখবেন আপনাদের ভালো লাগবে
সন্দীপনদা হনি-টোটোনদের ছায়া নিয়ে গল্প বলেছিল

তুমি বলেছিলে হিরণ মিত্র ছায়া নিয়ে ছবি আঁকেন…
আরে… মনে পড়ছে সেদিন ছায়াদির মেয়ে হয়েছিল
সতেরো বছর পর…

তখন সহায়জীর বাগানে কত রঙের গোলাপ ফুটেছিল


ক্ষেত্রজ -- সমীর রায়চৌধুরী

সারা ভারত জুড়ে এত কলাবতী কেন—

পড়েছি, কলাবতী বায়ু প্রসব করলে অযোনিসম্ভূতা

রাধিকার জন্ম

দেখেছি,শুঁয়োপোকা আরোহে প্রজাপতি

উচ্চগ্রামে স্বরলিপি স্বর পাল্টায়, প্রত্যেক শব্দ

উচ্চারিত হলে কিছু বায়ু তার পেটে থেকে যায়…

তবে কি মানুষের জীবনটাই শব্দের গতিবিধি…

বায়ুতরঙ্গের চলাফেরা…

কে জানে আবার নিম্নচাপ কবে…

কলাবতী জানে

আছেন এক কলাবতী সত্যনারায়ণে…

(তথ্যসুত্রঃ উকিপিডিয়া, ফেসবুক, বিভিন্ন ওয়েব সাইট, ব্লগ, কবির লেখা কবিতার বই, ম্যগাজিন, )

( কবিতা পড়ুন, কবিতার বই কিনুন)
              
( তথ্যে কোন ভুল থাকলে অবস্যই ধরিয়ে দেবেন।)