১। অরন্যদেব ও পৃথ্বীরাজের ঘোড়া
অরন্যদেব আর করোটির গুহা ছড়ে গোমুটিয়ার চার মাথার মোড়ে আসবে না। ধুসর রঙের (অবশ্যই কালো নয়) ধোয়া উড়িয়ে মোটরযান, কিছুক্ষণ লাল আলোতে ফেঁসে থাকে। গল্পের নায়কের চোখ আজও দুরবিন। কালো কাচ ভেদ করে কাঁপা হাতের লেখা।
ধুলো উড়িয়ে আসছে পৃথ্বীরাজের ঘোড়া।
২। রেল কামরা
একটা আস্ত চৌপায়া খাটিয়া বেয়ে নেমে আসে থলথলে ক্লেদবোধ নজর যা অন্ধকার ময় তাতে শান্ত নদীও বানভাসি মনে হয়। যুদ্ধ না শান্তি, থর থর হাতে উলঙ্গ রেল কামরা, ফোঁস করে ওঠে। ঘাড় বেয়ে উষ্ণ গরল, তাপ, চরস গন্ধে মাতাল ঘাম ঘাম। আহ! বড্ড তেজ। কামড়ে আচরে মাটির ভিতরে ঢুকে পরে নৌকার মাঝি। বৃষ্টির ঝাটে নাগাড়ে দাড় বেয়ে ... রেল কামরা, কু ... ঝিক ঝিক।
৩। এলাচ, তেজপাতা
মেঘ ক্রুদ্ধ হলে, গর্জন। বাতাস গরম। হিস হিসে ভবিষ্যৎ, আহ, আজই ঝড় কেন? আমি আটকে থাকিনি। চাকার ঘর্ষণে আগুন স্ফুলিঙ্গ ঘেকে শিহরিত পৌরুষ, নগ্ন গান খোঁজে, ... দেখ এখানে। ঘনঘন মন খারাপ খাটের তলায় ফেলে বাটনায় পিষে ফেলি এলাচ, তেজপাতা।
৪। পুতুল সম্ভার
বিষণ্ণ ঘরের দিকে ফিরে দেখা যায় আয়নার এ-প্রান্ত ও-প্রান্ত। শার্সির ধারে জল দেখি বুঝি মেঘের আজ মনখারাপই। উদাস পরদাদের টেনে বন্ধ করি বাতাসের আনাগোনা। ধাঁধাঁ লেগে যায়; ফিরে আসা, রাত থেকে দিন। আলো ঘিরে ফেলছে আমাদের ঘর, আমারা উষ্ণতার আবাহনে জন্য সাহস যোগাই একে-ওপরকে।
ঘরের কোনায় জমে উঠছে পুতুল সম্ভার।