বর্তমান সময়ে যে কয়েক জন কবি কে আমারা বলি এরা আগামীর কবি তাদের মধ্যে অন্যতম কবি বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। কবির বেশ কিছু কবিতা কবিতার পাঠকদের সাথে আমাকেও মুগ্ধ করে গেছে। কবির লেখা গুলো ভীষণ ভাবে সমসাময়িক, ভাব ভাবনা লেখনী ভাষা গত দিক দিয়ে এ সব খুবই বর্তমান। কবিতায় যে ছবি আঁকে কবি তা আমাদের চোখের সামনে ঘটে যাওয়া মুহূর্ত অথবা ভাবনা গুলো যেন রোজই চারপাশ থেকে জনম নিতে দেখি। কবি তার শিল্প স্বত্বা কে প্রকাশ করেছে এমন সব কবিতা দিয়ে যা মানুষের কথা বলে। যা মানুষের ভালো মন্দ, ছটফটানি, ভালো মন্দ, সব প্রায় সব কিছু কে দেখায়। তিনি রক্ত দেখেও চুপ করে থাকা শিল্পীকে পরিত্যাগ করতে বলেন। আবার কোন খেটে খাওয়া মানুষ যখন অন্য মানুষকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে তখন তিনিই তাকে আদর্শ মানুষ হিসাবে বরন করে নেন। সমাজের অবক্ষয় ও আশার আলো থাকে কবিতায় ...

'কী যুক্তিতে তা হলে আর দুষব ছোট বাচ্চাদের, যারা
সোনারূপার কুঠার নয়, দশ টাকার ঘরোয়া জেলপেন
উঁচুতে তুলে ধরা মাত্র
সবাই মিলে চেঁচাতে থাকে, 'আমার, স্যার আমার' ...'

কবির লেখা শুধু ভাবনা বা ভাষার দিক থেকে অনন্য করে না প্রকাশের ভিন্নতা লেখনী কে নিয়ে যায় অন্য উচ্চতায়। তাই এমন লাইন লিখে ফেলেন কবি

'প্রজাপতির ভিতর থেকে শুঁয়োপোকা
তো বেরোয় না কখনও
মানুষের ভিতর থেকে তুমি কীভাবে বেরিয়ে আসো পুলিশ?'

এই ভাবে ভিন্ন প্রকাশ সত্য উপলব্ধি গুলো কে আরও ধারালো করে তোলে। কবি বিনায়ক এর অনুভব ছড়িয়ে পরে শব্দে, ছড়িয়ে পরে ভাবনায়, আঘাত করে চেতনা, উপলব্ধি করে হৃদয় যখন কবি বলে ওঠেন,

'জমাট বেঁধে গেলে সংশয়
বইতে শুরু করলে বিপ্লব...’

এখনো একা বা বহুত্বে, আনন্দে বা মনখারাপি কবির কবিতা আমার একমাত্র সঙ্গী।

জন্ম ১৯৭৬, পেশাগত ভাবে এক জন শিক্ষক। কবিতার সাথে সাহিত্যের অন্যোন্য ক্ষেত্রে কবির অবাধ বিচরণ। কবি পুরস্কৃত হয়েছেন কৃত্তিবাস পুরস্কার ও বাংলা একাডেমীর শক্তি চট্টোপাধ্যায় পুরস্কারে।

কাব্যগন্থঃ অভাগা যেদিকে চায়, হাওয়া যাকে করেছে ফেরার, রিকশা নয়তো রূপকথা, ছেড়েছি সব অসম্ভবের আশা, তুমিই প্রাণ তুমিই পর, আমি তোমার বন্ধু , ভৌ , সত্যি হলেও গল্প , সিকন্দর , সোহাগিনীর সঙ্গে একবছর, দাঁড়াচ্ছি দরজার বাইরে, তারাবন্দর, বাচামরার মাঝখানে, অন্ধকারে তুমি বিগ্রহ, ইত্যাদি।  

https://www.facebook.com/Binayak-Bandyopadhyay-118371638369223/ (কবির ফেসবুক পাতা )

আবৃতি লিঙ্কঃ https://www.youtube.com/watch?v=UrgYMTHSDdk


উদোম --বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়

আমার মতো নিচুতে নেমে বলবে কেউ কথা ?
আমার মতো উঁচুতে কেউ তুলতে পারে গলা ?
প্রমাণ কেন করব, কিছু প্রমাণ করছি না ।
বলতে হয় কোথাও... তাই তোমার কাছে বলা ।
বাচ্চাগুলো রিকশা করে স্কুলে যাওয়ার পথে
ভেংচে গেল আমায়, আমি শত্রু নয় কারও
স্বপ্ন দেখি- আকাশ থেকে তারার মতো খসে
তোমার পেটে চারার মতো বাড়ছি । যদি মারো ?
উদোম গায়ে এসেছিলাম জ্যৈষ্ঠে-বৈশাখে
কালো কাফনে নিজেকে মুড়ে হারিয়ে যাব শীতে
আমার মতো ব্যর্থ আমি দেখিনি কোনওখানে
আমার মতো সফল তুমি পাবে না পৃথিবীতে ।


প্রতিধ্বনি -- বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়

আগুনে দাও দুধের বাটি সে হবে ক্ষীর
আমার ছায়ায় উঠবে জেগে তোমার শরীর
হবেন তোমার রবিঠাকুর তোমার শনি
তখন আমার অন্ধতাও তো প্রতিধ্বনি
তোমার জিভের পিছু পিছু। বেড়ায় ছুটে
ফুলের ভিতর ঘুমিয়ে থাকা সব মুকুটে
আর একটিবার মাথা ঢোকায় সর্বহারা
আকাশ না থাক। তুমি আমার চোখের তারা।

প্রেমপর্যায় --  বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়

রাতে তিরিশটার উপর রুটি বেলতে হত বলে
মায়ের হাত সবসময় গরম থাকত।
বুকে, পিঠে, মাথায় বুলিয়ে দিলেই
লেপ-কম্বল তৃষ্ণা উধাও হয়ে যেত
আমার।
ভাপ হয়ে উড়ে যেতাম আকাশে
বৃষ্টি হয়ে নেমে আসতাম নীচে
একটা অ্যালুমিনিয়াম মগে
ফুটো ছাদের নীচে ঘর করা
যে-কোনো দম্পতি
যাকে হাতের তালুর চাইতে ভালো চেনে।
আমাকে ডিঙনোই যেত
কিন্তু
আমি জন্মবার পর থেকে
ওই অ্যালুমিনিয়ামের মগটা ডিঙিয়ে
বাবা - মা- র আর কখনও
রবীন্দ্রনাথের বর্ষার গানের কাছে
যাওয়া হয়নি।

শেষকথা --  বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়

পালটে যাবে দৃষ্টি সেটা বুঝেছিলাম লেখার আগে
তবুও আমি লিখেছি আর পড়েছে কিছু লোক
মহাভারত শুদ্ধ ছিল, শুদ্ধ আছে, শুদ্ধ থাকে
অসুখ যাও রাজ্য ছেড়ে, রাজার ভালো হোক।

ভালোই যদি হবে তাহলে রাজার কেন একলা হবে
রানির কেন হনে না কোনো ভালো?
আমি তো তাকে কাঁদতে দেখে এগিয়ে গিয়েছিলাম কাছে
বলেছিলাম, তোমার চোখে সূর্য রেখে জ্বালো

আড়াল শুধ চিকের নয়, অবিশ্বাসও আড়ালে ছিল
বোঝাতে আমি পারিনি তাকে তাই
রূপকথার প্রতিটি দেশে রয়েছে রাক্ষসের বাড়ি
কিন্তু তার ভিতরে ঢোকা চাই

সে পথ বড়ো ঝুঁকির পথ, পাথর পরে মাথায়, নেই,
পাথরে নেই সোনার মতন ভার
তোমাকে ভালবেসেছি বলে বিকিয়ে দিএ এসেছি নাকি
নিজেকে ভালোবাসার অধিকার?


সিস্টেম -- বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়

রাতের বলা না আসে যদি গান

অর্থ আর সংকটের মধ্যে থেকে
হাইফেনের তক্তা যদি সরিয়ে নেয় কেউ

নাইলনের মশারি দিয়ে নিজেকে ঢেকে
প্রতিভা যদি বিড়ি জ্বালাতে বাধ্য

আত্মা যদি রক্ত আর মাংস থেকে আলাদা হয়ে
অন্য ফ্ল্যাটে থাকে

বিপ্লবের সাফল্যেও
সহ্নেতাকে বলিভিয়ার জঙ্গলেই মরতে হয়ে পচে

কী যুক্তিতে তা হলে আর দুষব ছোট বাচ্চাদের, যারা
সোনারূপার কুঠার নয়, দশ তাকার ঘরোয়া জেলপেন
উঁচুতে তুলে ধরা মাত্র
সবাই মিলে চেঁচাতে থাকে, 'আমার, স্যার আমার' ...

রমাকান্ত কামার --
তোমাকে যদি উলটে দিই তবুও তুমি রামাকান্ত কামার?

ফেরারি -- বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়

ঘুম আসুক, না-ই আসুক
তুমি তোমার স্বপ্নগুলো
বলতে থাকো শুনি

এক বছর, তিন বছর, পাঁচ বছর পরে তোমার
মুকুটে ক'টা পালক হবে
দাঁড়াও আমি আঙুলে কর গুনি।

গুনতে গিয়ে গুলিয়ে গেল
পিছন থেক আমাকে ঠেলো
আমিও স্টার্ট নেবই মনে-মনে

বাতাসে ভাসে ধোঁয়ার রিং
হরিণ তার নিজের শিং
লাতার থেকে ছাড়ায় প্রাণপণে

তুমিই প্রাণ, তুমিই পর
বারান্দাই আমার ঘর
গন্ধ, সোঁদা গন্ধ থেকে, কা আর পারে মুক্তি দিতে
বোতলে যদি নিজেই বাঁধা জিন ...

রাতের ট্রেনে পালিয়ে যাওয়া মন; আমার মন
আমাকে তুমি ছোওনি জানি
সমুদ্রকে ছুঁয়েছ কোনো দিন?


বালিগঞ্জ --  বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়

সদরে হিংসার ঝাঁজ বেড়ে গেছে
মাঝেমধ্যে পাঁচফোড়নের থেকে আলাদাও করেতে পারি না।

হংকং ব্যাঙ্কের কাছে,
ক্ষয়াপাঁজরা রিকশাওলা কায়াদা করে সওয়ারি বানাল;
উলটে দিল দেড়মিনিট পর।

সমস্যা--ইগোর, বুঝতে পারি
সমস্যা-- নিজেকে নিজে যাত্রী ভেবে নেওয়া।

তা হলে মানুষ, কি আসলে?
রিকশাচালকের লোভ?
গোলকিপারের দিকে তিরবেগে ছুঁয়ে আসা বল?
যাকে সামলানো যায় না, গ্রিপ করা যায় না, শুধু
একটু পিছনের দিকে ঠেলে দয়া যায় ... ?
সামনেই, দক্ষিন-বিন্দু উচ্চ বিদ্যালয়।
পনেরো বছর আগেকার (শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা মনে নেই) দুপুরবেলায়
অ্যালজেব্রা ক্লাসে কাঁদছিলাম;
একটা, কুচো চিংড়ির মতন মেয়ে আমার গাল টিপে বলেছিল --
'তুই a2 আমি b২,
আমাদের বিয়ে হলে বাচ্চা হবে, ওটাই ২ab ... '
সে কোথায়?

২৯শে মে --  বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়

আমি আসলে বলতে চেয়েছিলাম, ডাইনি আমাকে আর
দগ্ধে মারিস না কিন্তু টেলিফোনে ভদ্রতাবশত কী আর বলব,
তাই বললাম-- জন্মদিন যেন খুব ভালো কাটে ...

আসলে আমি তোমার দয়াবতী মাকে জানিয়ে দিতে চেয়েছিলাম
জল আর অন্ধকারের সান্নিধ্যে আমাদের আমিষ ছোঁয়াছুঁয়ির
গল্প, কিন্তু টেলিফোনে ভদ্রতাবশত কী আর বলব, তাই
জানতে চাইলাম-- বৃহস্পতিবার কী সবার জন্যই নিরামিষ না শুধু
ঠাকুমার?

আমি আসলে একটা চিৎকার দিতে চেয়েছিলাম যাতে
পরিষ্কার হয়ে যায় -- ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রফেসর
তো দুরস্থান, যমের হাতেও তোমাকে দিতে পারব না
কারন সেও পুরুষ ... কিন্তু টেলিফোনে ভদ্রতাবশত


বাজি -- বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়

পুড়িয়েছি কাঠখড়
পুড়িয়েছি নিজের ঘর
উপকূলবর্তী ঝড়
ছাপ রেখে গেছে জানালায়

আমি তার অভিমান
ভেবেছি, পাখির গান
ঘুড়ির সুতোয় প্রাণ
কাঁহাতক বেধে রাখা যায়?

মন নিজে যদি অন্ধ
কে লিখেছে নিবন্ধ
কার বাক্য, কার ছন্দ
কেন যুদ্ধ, কীসের সংগ্রাম?

পোড়া জাহাজের ডেকে
কী লাভ দাঁড়িয়ে থেকে
যদি প্রাণ বাজি রেখে
তোমাকে না ভালবাসলাম?

বাংলা ভাষা সমীপেষু -- বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়

মাতব্বর, ম্রামত, কলম, কাফের, কেচ্ছা
আরবি থেকে এসেছে এখানে।
অজুহাত, আপসোস, দরখাস্ত, দেহাতি, দোকান
ফারসি থেকে এসেছে এখানে।
বাবুর্চি, বারুদ, বোঁচকা
তুর্কি থেকে এসেছে এখানে।

দাঙ্গা, হাঙ্গামার ঢেউয়ে ভিটেমাটি ছেড়ে
চায়ে চিনি, পাতে নুন, পাঠ্যক্রমে-- শেলী, কিটস ছেড়ে
আমিও এসেছি আজ তোমার পাড়ায়
শুনেছি, এখানে নাকি চব্বিশ ঘণ্টাই
সৎকারের গাড়ি পাওয়া যায়?

মেসেজ -- বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ( কিছু লাইন)

আজ আবার,
একই মহিলাকন্ঠ গদগদ করে বলল,
বাড়ি নেই, যদি কোনো মেসেজ থাকে তো দিয়ে দিন, পেয়ে যাবে।

আচ্ছা পরে করে নেব, বলে, ফোন নামতে নামতে মনে হলো
.
.
.

পোশিয়াকে শাইলকের চিঠি -- বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ( কিছু লাইন)

সুন্দরবনের মৌচাক কিংবা ডাবরের বোতলে সমান স্বচ্ছন্দ তুমি
তুমি, শিল্পপতির সুইস ব্যাংক অ্যাকাউন্ট
আবার তুমিই দারিদ্রবেখার নীচে বসবাসকারী মানুষের 'রোজগার যোজনা'।
.
.
.

দিবারাত্রির কাব্য -- বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ( কিছু লাইন)

মুখে জ্বলুক নুড়ো ঝ্যাঁটা
তবুও আমি বাপকা ব্যাটা
রোদে পুড়ে, জলে ভিজে
নিজের বডির সঙ্গে নিজে
টেম্পো করে যাওয়ার সময়
পয়সা ছেটাই, খই না ...
.
.
.

গব্বর সিং  -- বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ( কিছু লাইন)

আমার জন্মের পাঁচ মাস পরে এসেছ পর্দায়
তবুও আমার চাইতে কত কোটি গুণে তুমি বড়, তুমি
আবাহমানের।
.
.
.
কেন? কেন? কেন? কেন?
প্রশ্ন করলেই তুমি বলো। 'মুন্না সো যা',
তুমি স্বপ্ন দেখতে দাও না আমাকে।


গোলাপ নির্মাণ -- বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ( কিছু লাইন)

বাবাকে ঘরে না পেয়ে অন্ধকার ছাদে উঠে দেখি
তারা ভর্তি আকাশের নীচে মগ্ন হয়ে বসে একজন মানুষ।
কিন্তু স্বাতী, কালপুরুষের থেকে গন্ধ আসছে কেন?
বাবা চমকে পেছনে তাকায় -- 'চুপ, চুপ!
.
.
.

কবির মা -- বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়

টাঙ্গাইল সাড়ি পরো, বাটার নতুন জুতো বাইরে খুলে
রাধাগোবিন্দের থানে যাও।
অন্যান্য মহিলাদের সঙ্গে গল্পগাছা করো, জেনে নাও
বাঁকা কোমরের জন্য কোন ওষুধ সবচাইতে ভালো।
ফেরবার পথে ভিখিরেকে পাচ-দশ টাকা দেও
ইমিটেশনের হার নর্দমায় ছুড়ে ফেলে পি. সি. চন্দ্রে ঢোকো
হিরের নেকলেস কেনো, সেলসম্যানকে বলো সেটা
বাড়ি পৌঁছে দিতে।
আঁচলে চাবির গোছা দোলাও সবসময়
কেবলে উত্তম-সুচিত্রার বই দেখতে, দেখতে
ভাবো --
এবছর গ্রীষ্মে নৈনিতাল নাকি উটির পাহাড়।
মকাইবাড়ি টি এস্টটের
লিকারে চুমুক দিতে, দিতে --
টলিফোনে মেয়ের সঙ্গে যত ইচ্ছে কথা বলো
জামাইয়ের কান মলে দাও।
খুব ভোরে ঘুম ভাঙলে যদি একঘেয়ে লাগে
সূর্যটাকে পশ্চিমে ওঠাও
তুমি তো কবির মা
ময়লা রান্নাঘরে বসে তুমি কেন বাসন মাজছ?


তথ্যসূত্র ঃ ইন্টারনেট এর বিভিন্ন সাইট, বিভিন্ন পত্র পত্রিকা, কবির লেখা বিভিন্ন বই।
কবিতা ভালবাসুন, কবির বই কিনুন ও পড়ুন।