পাঠক হিসাবে আমি চিরকালই সর্বভুক। সব কিছু দ্রুততার সাথে পড়ে ফেলায় যেন সর্ব সুখ। তাই বিজ্ঞাপনের লাইন থেকে কবিতা, ধর্ম গ্রন্থ থেকে বিজ্ঞান বিষয় আত্তীকরণের সুখে আমাকে সুখীই বলা যেতে পারে। ভাষা মাঝে মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি কর তবুও বাংলা ভাষার বাইরের কি নিয়ে লেখা লেখি হচ্ছে তা নিয়ে আমার উৎসাহ কম থাকে না। আর সমস্ত কিছুর মাঝে কবিতা অবশ্যই একটা বিরাট স্থান দখল করে আছে। আর সহজাত ভাষা হিসাবে বাংলা কবিতা দাপিয়ে বেড়ায়। কিন্তু এক অবদমিত ইচ্ছে থেকে যায় এটা জানার যে এই সময়ে বিভিন্ন ভাষায়, বিভিন্ন দেশে এই সময়কার কবিরা কি ভাবছে কবিতায়। আমাদের পূর্ব কবিরা যে ঐতিহ্যময় কাব্যের ভাণ্ডার রেখে গেছে তার স্বাদ চিরন্তন কিন্তু তার বাইরেও কবিতার এক বিশাল ভাণ্ডার পড়ে আছে। বিশেষ করে বিভিন্ন  ভাষার কবিতা বা বলা যেতে পারে জনপ্রিয় কবি দের কবিতা আজ ইন্টারনেটে সহজ লভ্য তবুও তাদের বাইরে অনেক নবীন কবিরা আছেন যাদের লেখার সাথে আমরা খুব একটা পরিচিত নই। এই নির্দিষ্ট সময়ে দাড়িয়ে আমরা যারা কবিতা পড়ি বা লিখি তাদের ভাবনা আদান প্রদানের প্রধান মাধ্যম কবিতা। তাই সেই সব নতুন কবিদের লেখাতে কি আছে সেটা জানার ইচ্ছেতেই আমার এই পাঠকনামা ...
অন্য ভাষার কবিতায় যাওয়ার আগে আমার বেশী করে মনে হয় বর্তমান সময়ে দুই বাংলার নতুন কবিরা লেখাতে কি ভাবছেন, বা তাদের পরিচয় বা কি, বা তাদের লেখায় প্রবাহ কি রকম তা বিশেষ করে জানার দরকার। আমারা যারা বাংলা ভাষায় কথা বলি বা বলতে পারি বাংলা ভাষাতে ভাবনা দের প্রকাশিত করি তাদের প্রথম ভাষার শিক্ষা কিন্তু রবীন্দ্রনাথ, নজরুল কে দিয়ে। প্রথম ভাষার ভাব বোঝা যাদের শুরু হয় সহজপাঠ আর কিশলয় দিয়ে, তাদের লিখত প্রীতিটি লাইনে রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলের প্রভাব থাকবে তা জানা তবুও আমার জানার আগ্রহ থাকবে তাদের ও অনন্য বিখ্যাত কবিদের মতন এখন কার কবিরা বিশ্ব চেতনা আর ভাবনার সাথে কোথায় দাড়িয়ে আছি।

যে হেতু আমরা সবাই সব জানি না তাই কিছু কবির কথা আমি জানাবো (বিশেষ করে ভারতবর্ষে যে সব নতুন বাংলা কবিরা লিখছেন তাদের নিয়ে) তেমনি আশা এই আসরের অন্য কেউ বাংলাদেশের নতুন বাঙালি কবি দের কথা জানাবেন। শুধু তাই নয় আমার আশা থাকবে বিশ্ব জুড়ে যত ভাষায় কবিতা লেখা হচ্ছে তাদের পরিচয় ও কিছু কবিতায় তাদের ভাবনাকে আরও ভালো ভাবে জানা। যেহেতু কবি দের আর্থিক সংস্থানের প্রধান উৎস কবিতা তাই আমি নতুন কবি দের কবিতা ইন্টারনেটে প্রকাশ করার বিপক্ষে তবুও এক কবি কে জানার জন্য যতটা কবিতার দরকার হয় সেটুকু দিয়ে কবিতাকে আরও ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হোক। কবির ভাবনা ও লেখা ভালো লাগলে তাদের কবিতার বইটি কিনে পড়া ও অন্য কে পড়তে উৎসাহিত করা চলুক এই পাঠকনামায়।

অনেক নবীন ও প্রবীণ কবি এখনো লিখে চলেছেন, তাদের অনেকে খ্যতনামা অনেকে আড়ালে কবিতার সাধনা করে চলেছে। তেমনি এক কবি যিনি পাঠকের মধ্যে নিজের ভাব ও ভাবনা কবিতার মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে পরেছেন তিনি কবি শ্রীজাত  
https://www.facebook.com/srijato.speaks.3?fref=ts (কবির ফেসবুক পাতা)
নাম  শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায় , পরিচিত শ্রীজাত নামে
জন্ম ২১ ডিসেম্বর, ১৯৭৫, কোলকাতা
দাদু (মায়ের বাবা ) শ্রদ্ধেয় তারাপদ চক্রবর্তী ( বিখ্যতা শাস্ত্রীয় সঙ্গীত গায়ক) মা  (শ্রীমতী শ্রীলা বন্দ্যোপাধ্যায়) ও মামাও ছিলেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীত গায়ক। বাড়িতে সঙ্গীত ময় পরিবেশ। এই পরিবেশে কবির লেখা লেখির প্রতি টান বোধ হয় বাবা (লেখক ও সাংবাদিক) প্রেরণা থেকে গেছে।

ছোট বেলা প্রায় ক্লাস সিক্স সেভেন থেকে কবিতার লেখা শুরু। কলেজে এসে কবিতা কে আরও ভালোবাসা ও লেখা লেখির জগতে প্রবেশ।  প্রথম প্রকাশিত বই (১৯৯৯), কোলকাতা বইমেলা "শেষ চিঠি"। তার পর অনেক অনেক কবিতা লেখা ও বই। ২০০৪ সালে কবিতার বই উড়ন্ত সব জোকার (২০০৪) জন্য দুটি পুরস্কার (আনন্দ ও কৃত্তিবাস)।

গ্রন্থতালিকা
শেষ চিঠি (১৯৯৯)
দু-চার কথা (২০০০)
অনুভব করেছি তাই বলছি (২০০১)
লিখতে হলে ভদ্রভাবে লিখুন (২০০২)
উড়ন্ত সব জোকার (২০০৪)
ছোটদের চিড়িয়াখানা (২০০৫)
কাতিউশার গল্প (২০০৬)
বর্ষামঙ্গঙ্গল (২০০৬)
অকালবৈশাখী (২০০৭)
বোম্বে টু গোয়া (২০০৭)
কফির নামটি আইরিশ (২০০৮)
বেটু আর জেঠু (২০০৮)
এমনি বই (২০০৯)
শেষ চিঠি দুচার কথা (২০০৯)
কম্বিনেশিয়া (২০১০)
কিছু কবিতা (২০১১)
ছাই রঙের গ্রাম (২০১১)
ট্রেন হারানোর গন্ধ (২০১২)
আমার সান্টা ঠাকুর (২০১২) 'গদ্য'
আমি আর উইলিয়াম (২০১৩)
করকতক্রান্তির দেশ (২০১৪)
বান্ধবীগাছ (২০১৫)
কবিতাসমগ্র ১ (২০১৫)

সম্প্রতি কবি শ্রীজাত আরো একটি পরিচয় সবার সামনে এসেছে তা হলো গীতিকার। আধুনিক অনেক বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় গানের লেখক কবি।

০৩৩, অটোগ্রাফ, জানি দেখা হবে, সি/ও স্যার, মিশর রহস্য, শত্রু, উড়ো চিঠি, জিও কাকা, ইতি মৃণালিনী, চ্যাপলিন, চারুলতা, অবশেষে, পাঁচ অধ্যায়, একলা আকাশ, নামতে নামতে আরো অনেক ...

আবৃতির লিংক
https://www.youtube.com/watch?v=fR3T8_chcw0
https://www.youtube.com/watch?v=q-D9D_XCPYg
https://www.youtube.com/watch?v=ocSBOKFdLvc


বেশ কিছু কবিতা কবির

ডিপ্রেশন -শ্রীজাত।।।

ডিপ্রেশনের
বাংলা নাকি নিম্নচাপ ?
বৃষ্টি এল। সঙ্গে কফি এক-দু'
কাপ
নামছে বিকেল, অল্প
ভিজে রাস্তাঘাট
ছাতার নীচে মিইয়ে গেল
পাপড়ি চাট
বন্ধুরা সব ফিরছে বাড়ি দূর
থেকে...
কেন যে আজ হিংসে হল তাই
দেখে,
দেখতে গিয়ে সন্ধ্যে হল
জানলাতেই
আগের মত মেঘ করেছে ...
কান্না নেই
কেবল মুঠোয় বন্দি কফির
একলা কাপ
ডিপ্রেশনের
বাংলা জানি । মনখারাপ ।

বর্ষার চিঠি – শ্রীজাত

সোনা, তোমায় সাহস করে লিখছি। জানি বকবে
প্রিপারেশন হয়নি কিচ্ছু। বসছি না পার্ট টুতে
মাথার মধ্যে হাজারখানেক লাইন ঘুরছে, লাইন
এক্ষুনি খুব ইচ্ছে করছে তোমার সঙ্গে শুতে

চুল কেটে ফেলেছ? নাকি লম্বা বিনুনিটাই
এপাশ ওপাশ সময় জানায় পেন্ডুলামের মতো
দেখতে পাচ্ছি স্কুলের পথে রেলওয়ে ক্রসিং-এ
ব্যাগ ঝুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছ শান্ত, অবনত

এখানে ঝড় হয়ে গেল কাল। জানলার কাচ ভেঙে
ছড়িয়ে পড়েছিল সবার নোংরা বিছানায়
তুলতে গিয়ে হাত কেটেছে। আমার না, অঞ্জনের
একেকজনের রক্ত আসে একেক ঝাপটায়

সবাই বলছে আজও নাকি দেদার হাঙ্গামা
বাসে আগুন, টিয়ার গ্যাস, দোকান ভাঙচুর
কিন্তু আমি কোনও আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি না
বৃষ্টি এসে টিনের ছাদে বাজাচ্ছে সন্তুর…

ঝালা চলছে। ঘোড়া যেমন সমুদ্রে দৌড়য়
ভেতর-ভেতর পাগল, কিন্তু সংলাপে পোশাকি…
তুমিই উড়ান দিও, আমার ওড়ার গল্প শেষ
পালক বেচি, আমিও এখন এই শহরের পাখি

অপেক্ষা – শ্রীজাত

ভ্রু পল্লবে ডাক দিয়েছ, বেশ।
আমার কিন্তু পুরনো অভ্যেস
মিনিট দশেক দেরীতে পৌঁছনো

তোমার ঘড়ি একটু জোরেই ছোটে
আস্তে করে কামড় দিচ্ছ ঠোঁটে
ঠোঁটের নীচে থমকে আছে ব্রণ

কুড়ি মিনিট? বড্ড বাড়াবাড়ি!
দৌড়ে ধরছ ফিরতিপথের গাড়ি
ফিরতিপথেই ভুল হল সময়—

আমারও সব বন্ধুরা গোলমেলে
বুঝিয়েদেবে তোমায় কাছে পেলে
কেমন করে গল্প শুরু হয়!

খোলাচুলের সংজ্ঞা দিতে দিতে
সন্ধে নেমে আসবে বস্তিতে
ভাবছ তোমার অপেক্ষা সার্থক?

জানবেও না আমি ততক্ষনে
অন্ধকার চন্দনের বনে
ঘুরে মরছি, কলকাতার লোক…


ধর্ম – শ্রীজাত

এখনও

এখনও আসে নতুন লেখা, মগজ থেকে শব্দ নামে ঠোঁটে
এখনও মাথাখারাপ, ঘোড়া দিগ্বিদিক জ্ঞান হারিয়ে ছোটে

বাচ্চাদের গান শেখাই, ছাত্রপিছু দেড়শো টাকা মোটে
শুঁকে বেড়াই ঘরদুয়ার, কোথাও যদি কিছু একটা জোটে

এখনও পাড়া সাজানো হয়। সবাই মিলে ছুটি কাটায় ভোটে
কোনও হাতের ছাপ পড়ে না গান্ধীজির হাসিতে ভরা নোটে

এখনও জমে ক্রিকেট ম্যাচ, উত্তেজিত মানুষ নখ খোঁটে
ঘাড়ে রদ্দা পড়লে কথা বেরিয়ে যায় ভেদবমির চোটে

এখনও লোকে হাঁপায় আর টিকটিকিরা দেয়ালে মাথা কোটে
এখনও প্রেম জনপ্রিয়। এখনও টবে গোলাপফুল ফোটে…

তোমার কথা ভাবলে আজও পুরুষাঙ্গ শক্ত হয়ে ওঠে


৯৮ – শ্রীজাত

আমাকে কাঁদিয়ে চলে যাচ্ছিলে
কিছুতেই ফিরে তাকাচ্ছিলেনা
আপনা থেকেই কাটাকুটি হলো
কথা বলার সুযোগ দিলে না

কোন মাস হবে? কোন সাল হবে?
সেপ্টেম্বর। ৯৮।

আজ এতদিন পর কী হাওয়ায়
উড়েও আসছে আবার তোমার
দাঁত, চুল, ঠোঁট,
    চিঠি, চুমু, থুতু,
        হাসি, গান, বিষ,
            আঠা, নখ, বই...  


(Srijato Bandyopadhyay
December 1 at 9:17pm ·)
শান্তিময়

স্পর্শ থেকে সরিয়ে দাও ভয়
প্রশ্নগুলো শান্তিময় হোক
শান্তি থেকে খুবলে নাও চোখ
এখানে কেউ বহিরাগত নয়।
মুখে মাখাও আনন্দের কালি
দামাল যত ডাকুক জনসভা
রক্তপায়ে গড়িয়ে যাবে জবা
রাধা তো এই জনমে বনমালী!
সংশোধন চাইছে কারা? ডাকো।
নরম করে মাংস নাও। বোঝাও।
এখান থেকে ফেরার পথ সোজা
যদি না কেউ নিজের থেকে বাঁকো।
মিথ্যে থেকে মুছিয়ে দাও ক্ষয়
অত্যাচার শান্তিময় হোক
শান্তি থেকে খুবলে নাও চোখ
ওরা আমার, ওরা আমার লোক।
এখানে কেউ বহিরাগত নয়।

জীবন, তোকে নিয়ে - শ্রীজত (শেষ চার লাইন)

জীবন, তোকে নিয়ে সকলেই
লিখছে তিন-চার ছত্র
সেসব নেয় আজ বই হোক-
'সেলিম লংড়ে পে মত রো'

রঞ্জিনীকে লেখা আমার চিঠি - শ্রীজাত

রঞ্জু সোনা,
তোমার ই-মেল পড়ি না আর। এই অসীমে
হপ্তা পিছু দশ টাকা যায় ট্যাঁক থেকে
ইংলিশ বাদ। বাংলা চালু। শহরে সব রাস্তা ঢালু
গড়াই, আবার ফিরেও আসি এক ঠেকে।

আকাশ ভরা সূর্য তারা, হাওয়ায় তখন কী আস্কারা
বুঝিনি, তাও এগিয়ে গেছি চোখ বুঁজে
ঠেকতে ঠেকতে এখন জানি, দুধ কা দুধ-- পানি কা পানি
জীবনে সব স্টেপ নিতে হয় লোক বুঝে।

কে কোন চুলোয় ঘাপটি মেরে কার কফিনে ঠুকছে পেরেক
কে কার ঘাড়ে নল রেখেছে বন্দুকের....
তবু তো প্রেম সর্বনাশী, পুজোর চাঁদা তুলতে আসি
সাহস পেতে সঙ্গে রাখি বন্ধুকে।

অসীম কালের যে-হিল্লোলে তোমার বাবা দরজা খোলে
দেখেই আমার প্রাণ উবে যায়,রঞ্জিনী
বিকেল করে ঘুরতে বেরোই,স্টিমার চেপে গঙ্গা পেরোই
আমি... তুমি... দাশকেবিন আর মঞ্জিনিস।

বেকার ছেলে প্রেম করে আর পদ্য লেখে হাজার হাজার
এমন প্রবাদ হেব্বি প্রাচীন অরণ্যে
কিন্ত তার আড়ালের খবর? জবরদখল? দখলজবর?
হাজারবার মরার আগে মরণ নেই।

কান পেতেছি চোখ মেলেছি যা দেখেছি চমকে গেছি
থমকে পাড়ার মোড়ে রাতদুপুর
ঝাপটাতে ঝাপটাতে ডানা পাখি পায় দৈনিক চারানা
কাপড় কিনলে হয় না মুখের ভাতটুকু।

প্রাতঃকৃত্য করছি বসে, এই সময় কে জমিয়ে কষে
লাথ ঝেড়েছে কাজলকালো পশ্চাতে
একেই দু- দিন হয় না, শক্ত, তার ওপরে চোটের রক্ত--
খুব লেগেছে। কিন্তু আমি, বস, তাতে
রাগ করিনি। ক্ষমাই ধর্ম শঙ্খ ঘোষের 'কবির বর্ম'।
গায়ে চাপিয়ে ঘুরে মরছি কলকাতায়
ভিড়ের মধ্যে ধাক্কা খাচ্ছি ....হাত- পা দিয়ে ঘুম তাড়াচ্ছি...
বেঁচে ফিরছি, সেটাই তো আসল কথা।

টাকা খুঁজছি নোংরা হাতে, ঠান্ডাঘরে, কারখানাতে
তুমি হতাশ,আমিও শালা বিরক্ত
দেয়াল দেখে খিস্তি করি... কোলবালিশ জড়িয়ে ধরি.....
কান্না আসে। এ কোনদেশি বীরত্ব?

বাড়ির লোকের উত্তেজনা-- 'কেন কিছু একটা করছ না'?
যেন আজো বেকার আছি শখ করে।
তবু এমন দেশপ্রেম,যে এমপ্লয়মেন্ট- এক্সচেঞ্জে
নাম লিখেছি সোনাবরণ অক্ষরে।

তুমি বরং সেটল করো-- গঙ্গারামকে পাত্র ধরো
ফরেন কাটো। দুঃখ পাব, সামান্যই....
আমায় নিয়ে খেলছে সবাই, সুযোগ পেলেই মুরগি জবাই
তুমি তোমার। আমি তো আর আমার নই।

ঢপের আকাশ,সূর্য, তারা.... স্বপ্নগুলো বাস্তুহারা
এবার থেকে নৌকো বুঝে পাল তুলো
আজ এটুকুই। সামলে থেকো, আমায় ছাড়াই বাঁচতে শেখো-
আদর নিও--

ইতি
তোমার,
ফালতু লোক।।।

তথ্য সুত্রঃ উকিপিডিয়া, ফেসবুক, কবির বিভিন্ন লেখা বই ও বিভিন্ন ইন্টারনেট ওয়েব সাইট।