আমার বই মেলা গেলে প্রধান উদ্দেশ্য থাকে যত বেশী সম্ভব বই দেখা ও কেনা। এই বার ও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রথম দিন হিসাবে একটা লিস্ট নিয়ে যাই এবং যতটা পারা যায় সেই বই গুলো কিনে ফেলি আর আরও কিছু নতুন বই এর লিস্ট বানিয়ে ফেলা। দ্বিতীয় দিন নতুন লিস্ট দেখে বাকি বই কিনে ফেলা। বলা বাহুল্য এ বারের প্রথম দিনটি ঠিক তেমনই গেলো, প্রাপ্তি অনেক নতুন বই। প্রাপ্ত বই গুলোর তালিকায় আছে, প্রিয় কবি অজিতেশ নাগ এর কবিতার বই "যাপিত হৃদয়", আছে প্রিয় কবি মন্দাক্রান্তা সেন এর লেখা " চাঁদের গলায় শালা দড়ি", কবি রণজিৎ দাশ এর লেখা কবিতার বই " ধানখেতে বৃষ্টির কবিতা " আর অনুবাদ কবিতার বই " কালো অস্ট্রেলিয়ার কবিতা " । এই আসরে আরও এক আমার প্রিয় কবি, কবি পবিত্র আচার্য্য এর লেখা প্রথম উপন্যাস " প্রধান সড়কের পেন্ডুলাম " , কিনে ফেললাম কবিতাক্লাব উদ্যোগে প্রকাশিত " অল্প কথায় গপ্পো " বই দুটি , সাথে আরও কিছু বই। তেমনই অপ্রাপ্তির তালিকায় থেকে গেলো , সপ্তর্ষি প্রকাশনার থেকে প্রকাশিত " অপ্রকাশিত জীবনানন্দ "। বইটি সব বিক্রি হয়ে যাওয়ার জন্য এই দিন বইটি সংগ্রহ করতে পাড়লাম না। বাকি থাকার তালিকায় আরও কিছু বই থেকে গেলো, আশাকরি পরের দিন সংগ্রহ করতে পারবো। শেষ করার আগে, কবিতার বই গুলো থেকে কিছু প্রিয় মুহূর্ত-
" কলকাতার দুপুর-শরীর;
সে তো মানুষ নয় আদপেই!
এক ঝুড়ি বেলপাতা
হয় পড়ে থাকে, নয় কাঁধে করে মন্দিরের পথে।"
( কলকাতার দুপুর - যাপিত হৃদয় - অজিতেশ নাগ )
" পানশালা থেকে আকণ্ঠ গিলে আসে
ছন্নছাড়া এ চাঁদ
আর আমি তার জ্যোৎস্না সাঁতরে সাঁতরে
আকাশের গোল পাত্রে
রেঁধে তো রেখেছি রুপালি মাছের স্বাদ"
(সিলেবাস- চাঁদের গলায় শালা দড়ি - মন্দাক্রান্তা সেন)
" বাকি সব জমজমাট। হালকা জ্যোৎস্নার নিচে
দুঃখকে সুখ বলে মন হচ্ছে চৌরঙ্গীপাড়ায়-
চাঁদের আজ পার্টি আছে সোনার বাংলায়"
( পার্ক স্ট্রীটের কবিতা - ধানখেতে বৃষ্টির কবিতা - রণজিৎ দাশ )।