১)
বুকের পাঁজরে ঝুলে জ্যোৎস্না আঘাত
ফুল, যা সব বাইরে ফুটছে
ডেকে আনছে রেডিওর গুনগুন, ওড়না ঢাকা
জঙ্গলে একা বসে থাকি
অন্ধকার তুমি আমাকে খানিক সরবত দেও
খানিক অভিমান দেও
উতলে উঠছে মহল্লা
একটা বাদবাকি বাহানা না পাওয়ার ভান করে পরে আছে
যদি এখানে বৃষ্টি নামে
যদি একটা মৃত শালিকের তৃষ্ণা ডাক দেয়
বারান্দার টবে উজ্জ্বল প্রেম
দাবার চালে অনুভব করি স্পর্শ, হাওয়াতে
কাগজের টুকরো ভাসিয়ে দিয়ে
ভেসে যাই ... ফাঁকা শরীর পেরিয়ে হাইওয়ে ...
২)
চোখের পাতায় জমছে বাদাম খোসা; এখন
সাইকেলের প্যাডেলে মেঘ জমে। সারিবদ্ধ পিঁপড়ে
মন দেওয়া নেওয়ার মাঝে একটা ঘড়, লম্বা পর্দা
উঁকিঝুঁকি মারে
সাদা পাতা। অক্ষর পাতালের অন্ধকার নিয়ে
উড়িয়ে দিচ্ছে রঙিন বেলুন
যে টুকু দরকার সে টুকু নিয়েই নেমে আসে চিরকুট
মুঠো হয়ে শক্ত হয় দম
নিঃশ্বাসে ঢেউ
এক কদম আগে এগিয়ে যায় আয়না। পিছনে
ধাওয়া করে রোদ্দুর মনস্ক চড়ুই। প্রতিবিম্ব রাত্রি চায়।
রাত্রিবাস চায়।
খেঁটে খুঁটে এই যা
আমার কবিতা