অনেক আগের লেখার তারিখ সম্ভবত- ২৫/৬/২০০৭ ও ৪/৮/২০০৭


১) দাদা। শুনছেন?

এই সকালে হা করা খবরের কাগজ
ভুলে যাওয়ার মরা নদী। বালি বওয়া গাড়ি।
ফেলে রেখে গেছে মরা চোখের মতন কিছু খাদ।

দাদা। একটু ...

এখনো টনক নড়ছে না। কাছে গিয়ে দেখি কিছু পিঁপড়ে
আমাদের মরে যাওয়ার ইচ্ছে দের বহন করে নিয়ে যায়
শতচ্ছিন্ন।

নগ্ন হয়ে অপেক্ষা করি। মুঠোভরতি ছাই। উড়িয়ে দেই।
জিভের ডগায় রঙ, স্বাদ ভুলে গিয়ে রামধনু।
জানা থাকলে শাস্তি দিতাম। নড়া চড়া নেই
ভুলে থাকলেও রক্তে সাইরেন বাজিয়ে চলে যায়
উদাসীন খেয়ে-পরে-বেচেথাকা।

দাদা। শুনছেন? একটু আগুন ...

মাইগ্রেনের মতন আন্তপ্রবাহ কিছু একটা।
কুয়াশা নেমে আসে নিঃশ্বাসে। পলকে উচাটন চাউনি রেখে
বিশ্বাসের প্রতি তোড়জোড়। আমি দাড়িয়ে থাকতে পারিনা
বসে পরি। হাতড়াই। একটু মুঠো, কিছু দম, শুধু ...
হাত বাড়িয়ে

দাদা


২) গল্প-গাথা

যে দুজন হাত ধরাধরি করে চলে গেলো, দূরে
আকাশ বা পৃথিবী কেউ তাদের নাম জানতে চায়না
ঘাস বা জল কেউ জানতে চায়না, তাদের সম্পর্ক
পথ বা জোনাকি কেউ খোঁজ নেয়নি তাদের ইতিবৃত্ত
এক টুকরো মাটিতে জন্ম নিলো,                   ঘরবাঁধা।

যে ঘর তারা বাঁধছিল, তার নাম দিলো প্রেম
যে ছাদ তারা বুনছিল, তার নাম দিলো প্রশ্রয়
যে দেওয়ালে আলপনা আঁকা হোল, তার নাম দিলো
                              রূপকথা।

আর, রাক্ষসরা?
রূপকথা থেকে বার হয়ে
সামাজিক মুখোশ পড়িয়ে নিদান দেয়
ওদের খতম করে দে

ফুঁপিয়ে ওঠে দেওয়াল। হাত দিয়ে চাপা দেওয়া ফিসফাস
এখন পোড়া ছাই গল্প বলে ... একমনে কানপাতে বাতাস।