তমালের ছায়াতরুর নির্লিপ্ত কোণে যখন
গরুর পাল ধুলা ওড়ায়
শিশুর দলেরা হুড়োহুড়ি করে বেড়ায়
ওই সবুজ মাঠের আল ধরে গায়ের বধূরা
কলসী কাঁখে নিয়ে হেঁটে আসে
দোয়েল , ফিঙে সুরে সুরে গান ধরে
আমার মনের কোণে বেজে ওঠে
সেই একতারাটির আন্দোলন ।
যে একতারাটি আমায় অঙ্ক শিখিয়েছিল
জীবনের যোগ-বিয়োগ , গুন-ভাগটি !
জীবন অংকের উত্তর মেলানোর আগেই
একতারাটির তারে মরচে পড়লো
সেখানে সহায়ক নেই যে তাকে
আবারও উজ্জীবিত করবো নতুন মোড়কে ।
নদীর গতিধারা এক হিমালয় থেকে অন্য হিমালয়ে
ছুটে চলেছে স্ব-মোহে
শ্যাওলার নাও তাকে অনুসরণে
পথ ভুলে অন্য পথে ধেয়ে
তখনও আমি নদীর ঘাটে বসে
আমার সাতকাহনী স্বপ্নগুলোকে
একটু একটু করে ভাঙবো ওই হাতে
যে হাত সদাই ন্যস্ত থাকতো নাকি
আমার হাতে
প্রত্যুষের আঙ্গুল ছোঁয়ায় দিক-বিদিক
নিভৃত কোণ
যার মান আজ অজানা
জানার কোনো পথ নেই !
বুড়ো শিরীষের তলে অশ্রুস্বজল অশ্বত্থের প্রতিচ্ছবি
একাকিত্বের বেড়াজাল বয়ে বেড়ানো
ন্যুব্জ বকুলতলা
পাশে পড়ে থাকা দুটি বকুলফুল প্রতিবার জানান দেয় আমার হারিয়ে যাওয়ার
দুটি হংসপাখা বলে যায়
"তোকে খুঁজবে না আগামী"
যে আগামী নিয়ে তুই স্বপ্ন দেখেছিলি
স্বপ্ন ভাঙলি নিজেই !
ফেরত পাবি না আগামীর
তোর বিদায় নিশ্চিহ্নতার পথ ওই শিমুলতলা
একরাশ মুগ্ধতা পূর্ণ বিদায় জীবনে রেখে যাওয়া
অল্পায়ু রঙিন রৌদ্রে মানবের ইতিহাস ।
০৯/১১/১৯