অদূরে ভেসে আসছে মায়ের মন্ত্র
নমস্তসৈ নমস্তসৈ নমস্তসৈ নমো নমঃ।।
পায়েল ছুটে চলেছে তীব্রবেগে ,
পিছনে ছুটে চলেছে পাড়ারই পল্টু দা
লোলুপ তার দৃষ্টি ,
তীক্ষ্ণ তার মুখভঙ্গি ।
হামলে পড়লো তার গায়ে ....
পুরোহিতের মন্ত্র কানে আসছে
ইয়া দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা ।
নমস্তসৈ নমস্তসৈ নমস্তসৈ নমো নমঃ।।
পরদিন সকালে ধবধবে সাদা পাঞ্জাবি পড়ে
মণ্ডপে অঞ্জলি দিচ্ছেন পল্টু দা , আর
অমন কাপড় পড়ে ?
দোষ নিয়ে তখনও
ঘরে গুমড়ে কাঁদছে মেয়েটি
কানে ভাসছে
ইয়া দেবী সর্বভূতেষু লজ্জারূপেণ সংস্থিতা ।
নমস্তসৈ নমস্তসৈ নমস্তসৈ নমো নমঃ।।
পাড়ার দাপুটে নেতার কাছে গেলো
বিচার চাইতে ,
বাঃ পল্টু মায়ের ভোগটা বেশ খাসা দিয়েছিস রে !
তোকে সামনের বারে ভোটে দার করিয়ে দেবো ।
সুরাহা মেলেনি !
তখনও মন্ত্র বাজছে
ইয়া দেবী সর্বভূতেষু দয়ারূপেণ সংস্থিতা ।
নমস্তসৈ নমস্তসৈ নমস্তসৈ নমো নমঃ।।
বিসর্জনের দিন
হঠাৎই চোখের জল মুছে মেয়েটি
ক্ষিপ্তবেগে হেঁটে চললো মায়ের দিকে
চোখ বিস্ফারিত
মণ্ডপে মায়ের হাত থেকে ত্রিশূল নিয়ে
এগিয়ে চলেছে পল্টুর দিকে ।
দৌড়াচ্ছে , পল্টু দৌড়াচ্ছে
খুব জোরে ,
ঢাকের বাদ্যি যেনো আরও জোরে বেজে উঠলো ।
ওদিকে মন্ত্র উচ্চারিত হচ্ছে -
ইয়া দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সংস্থিতা ।
নমস্তসৈ নমস্তসৈ নমস্তসৈ নমো নমঃ।।