🍂
সেই কবে থেকে অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে
রাজপথে ছাত্র-যুবার মুষ্টিবদ্ধ স্লোগানে
কলে-কারখানায়, মাঠে ময়দানের ভাষণে
শ্রমজীবী, কৃষকের অধিকার আন্দোলনে
প্রতিবাদের ভাষা কবিতা হয়ে ওঠে
বিদ্রোহী মানুষের নির্ভিক উচ্চারণে।
পরাধীনতার বন্দিশিবিরে
পৈশাচিক পুলিশি অত্যাচার আর নির্যাতনে
যাদের বিবেকের শিরদাঁড়াটা নোয়ানো যায় নি
ভারী পাথর চাপিয়ে তাদেরকে শুইয়ে রাখা হয়!
এভাবেই প্রতিনিয়ত ধুঁকে ধুঁকে মরতে মরতে
প্রতিদিন যারা একটু একটু করে বেঁচে উঠত
মার্ক্সীয়-লেনিনীয় আলোয়
তারাও প্রত্যেকে কবিতা পড়েছিল এবং
লিখেছিল রক্তে লেখা কবিতা কেউ কেউ
স্বাধীনতার মন্ত্রে, আদর্শের চিন্তা-চেতনায় মননে।
কিশোর-কিশোরীর পবিত্র প্রেমে
কৃষ্ণচূড়া পলাশ যেমন ফোটে উষ্ণতা ছড়িয়ে দিতে
কবিতাও জেগে উঠেছে বারবার কতবার
তাদের দুবাহুর দৃঢ় অঙ্গীকারে হৃদয়ের নিভৃতে।
কবিতারা এভাবেই বেঁচে থাকে
হাসি-কান্নায় জীবনের গানে, জয়গানে
অন্যায়-অবিচারে, মানে-অপমানে
অধিকার বুঝে নিতে বিপ্লবে রক্তে ও ঘামে
দুর্বার শপথের দুঃসাহসিক ঝোড়ো সংগ্রামে!

🍂
টালিগঞ্জ, কোলকাতা।
রচনাকাল > ৩১|০১|২০২২