সুনিপুণ দৃশ্যে লকলক করে উঠছে থাবা
ধারালো নখ ফালাফালা করে দিচ্ছে
জীবন ও মৃত্যুর মাঝখানে গৃহপালিত জীবনপ্রনালী জন্মজাত পরিচয়, চিহ্ন নথিপত্রের মতো ঝাঁঝালো গন্ধে পিঙ্গল শূন্যতা নিয়ে উড়ে যাচ্ছে।
অথচ—
রাষ্ট্রসঙ্ঘ ছিল, সুনির্দিষ্ট শান্তি প্রস্তাব ছিল।
তথাপি, বারংবার সৌজন্যমূলক বেড়া ভেঙে
হিংস্র বাঘ পৌঁছে যায় নির্মল হরিণের কাছে
দুমড়ে মুচড়ে যায় পৃথিবীর সভ্যতার শ্রেষ্ঠ উপসংহার!
চোখ বন্ধ করা এইসব নারকীয় শিহরিত দৃশ্য কেবলই ক্রমাগত মৃত্যুর দিকে হেঁটে যায়
ধারালো ছুরির কাছে উপাসনা তুলে রেখে
মানবতার ইঁদুরেরা ঘুমিয়ে পড়েছে সাতসকালেই
আমাদের আপাত নিরীহ বুজে আসা চোখ হেঁটে যায় কোনও এক সময়ের বোধিবৃক্ষের কাছে
যেখানে কেউ ফুটিয়েছিলেন করুণা ও শান্তির ফুল
এখনও বয়ে যাচ্ছে নদী, বয়ে যাচ্ছে কাঠ খড় স্মৃতি...

রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সুনিপুণ কৌশলের সীমাবদ্ধ উৎসব
বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এইসব রোমহর্ষক দৃশ্য
চলতেই থাকবে, লোভী ক্ষমতালিপ্সু স্পর্শকাতরতায়...!

রবীন্দ্র আবাসন, কোলকাতা- ৭০০০৮২
রচনাকাল > ১২/১২/২০২৩