আজ, — নববর্ষের প্রভাতী শুভেচ্ছায়
কথামালার কবিতা উপহার ছাড়া
সেরকম মহৎ কিছু দেওয়ার নেই আমার
শুধু জানি—
আবার শুরু হবে একটা দীর্ঘ উপন্যাস
বিবিধ ঘটনাক্রম, চরিত্র সংলাপ ও দৃশ্যাবলি
অভিনব মঞ্চসজ্জা, আর তার জটিল বিন্যাস।
পাখিদের ওড়াউড়ি দেখি
পাড়ার হাবলু-টা পায়রা ওড়াচ্ছে,
আমি আর উড়তে পারি না কেন?
বুড়ো শালিক-টা খুঁটে খুঁটে দানা খায়
বয়স হয়েছে, পালক খসে পড়েছে দু-চারটে
আদিগঙ্গার পাড়ে ভাত ফুটছে টগবগ করে
বাড়াভাতের থালায় দাঁড়কাক মুখ দিতে যায়
রে-রে করে তেড়ে আসে মালতির মা
প্রাত্যহিকতার রোজনামচায় ভোট-যুদ্ধ
খেলা,.. আর খেলা ভাঙার খেলা
ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ, কর্কশ-কদর্য চর্চায় মাতোয়ারা
ভেসে আসে অজানা শব্দ, বিচলিত নই
দাম্ভিকতার টুকরো ছবি ভাসে আঠাশের আয়নায়!
দিন কাটে, বয়স বাড়ে উপন্যাস ফুরোয় না
বছর ঘুরে যায়, আবার ভোট আসে
ঘটা করে প্রত্যেকবার একটা নববর্ষও আসে...
ও বলে--
বিদ্যুৎ, ওষুধ? এত খরচ! কিন্তু, কীভাবে?
জীবনে একটা উড়ান উড়তে চেয়েছিলাম
আমি আর উড়তে পারি না
শুধু ওড়াউড়ির ভাণ করি, এই সামান্য বেতনে!
🍂
টালিগঞ্জ, কোলকাতা।
রচনাকাল > ১৬|০৪|২০২১