ব্যাথাটা জানান দিল গলার কাছে –
              রোজকার মত - মাঝরাতে
        দলা পাকিয়ে  ওঠা  যন্ত্রণাতে  ,
              ফুসফুসে – হৃৎপিণ্ডে  নিষ্ফল রক্তাল্পাতে  ; ,
     অন্ধকারে ডুবে অস্তিত্ব  কাঁদে অনিদ্রাতে -
                      বাঁধা পড়ে আছি যেন  শেষ শয্যাতে ;
          মনে ভয় ,  এলো  ঘোড়  অসময়
              প্রতিরাতে  জেগে থাকি  মৃত্যুর অপেক্ষায় ।
           যন্ত্রণায় জীবন আমাকে  ছিঁড়ে ফেলে  
                ছুঁড়ে ফেলে  অহনিশি   ফুটন্ত –তপ্ত  লাভাস্রোতে
                  দেহ  প্রাণ – মন  অসাড় ,  দুর্বিষহ যন্ত্রণাতে ,
            শোকযাত্রা - শবযাত্রা মাঝরাতে  
                        মহাশূন্যে্র পথে –নীরব অশ্রুপাতে ।
            যন্ত্রণার বিষ  রক্তে মিশে –শিরা উপশিরাতে
                       জিহ্বাতে  নোনতা স্বাদে –
                                      ব্যাথার  আর্তনাদে ;
               তলিয়ে যাবো আমি -  হারিয়ে যাব
      কোন একদিন  
        চোরা স্রোতে- ঠিকানা হয়তো
লেখাহবে  অভিশপ্ত মৃত্যু খাদে  ।
              এ যেন প্রসূতি ব্যাথা - প্রসবস্রাবে রক্তের ধারা
            যন্ত্রণার নাড়ি ছিড়ে- উদভ্রান্তের  চিৎকারে
                                            নিশি দিশাহারা ।
আঁধার শেষে  প্রকৃতি  প্রসব করে
         রক্তরাঙ্গা  ভোরের শিশু  - সকাল  
      আর    তক্ষনি ,
   জীবন ধুয়ে মুছে ফেলে সব গ্লানি কালিমা- ইহকাল ,
            ক্লান্তিও বিশ্রাম রত  –নতুন আশার প্রভাতে -
      আমি ঘুমাবো এখন-
              তোমার কোলে  মা গো –
                        মাথা রেখে   গভীর শান্তিতে –
                        নতুন ভোরের আলোয়    বাচার আশাতে !