চিঠিটা এসেছিল - পারমিতার নামে ,
রক্তলাল রংয়ের একটা খামে-
কার্গিল থেকে-
প্রেরকের বার্তা বোয়ে আনে -
সেনাবাহিনীর বিশেষ বিমানে ।***
“ পারু , এখনো যুদ্ধটা চোলছে ,
আমাদের কোলকাতার ‘লোড সেডিংয়ের’ মত –
দিনে দেখা নেই-
মাঝরাতে হৈ হৈ করে জ্বলছে ;
সেই বারুদের গন্ধ –
আঙ্গুলে চ্যেটচ্যেটে পোড়া তেলকালি ,
অবিরাম মেশিনগানের গোলাগুলী ।
মর্টার- গ্রেনেড , রকেটলঞ্চার -
শেষ রাতে রক্তস্রোতে লাশের পাহাড় ,
তারপর শুকনো পাঊরুটি,
বিস্কুট ও রামের বোত্লে চুমুকে ডিনার ।
এই যুদ্ধযুদ্ধ খেলায় - বলতো লাভ কার ?
শক্তিশালী দেশের অস্ত্র ব্যবসায়ী ও
অসৎ ক্ষমতা লিপ্সু ধনবান দেশ ও নেতার ।
আমি শীতকাতুরে বাঙালী ,
হাজার-বারসো ফুট উচুতে-
দেশের জন্য এখানে ভয় নেই মৃত্যুতে ।
আমার ভয়- বরফ গলা জলে স্নানে ,
আর আধমরা তালেবানে ।
পারু , এবার একটা ‘ ট্যাটু ’ করাবো-
বাম হাতে “ পারমিতা কে ” –রণে বনে কাছে পাবো,
তোমাকে নিয়ে জোড়াসাঁকো যাবো ,
কালীঘাটে ‘ ম্যাডাম কালীমাকে ’
এক শনিবারে পুজোও দেবো ।
এখনো ভেবেদেখো, পারু- ভবিষ্যতে আমাকে নিয়ে
অনিশ্চিত রবে শাখা সিঁদুর
ফৌজীকে যদি কর বিয়ে ;
চিঠিখানা কালকের ডাকে- তোমাকে দেবো পাঠিয়ে ।
বাইরে চেনা বুটের আওয়াজ ,
এইটুকুই আজ – নিশ্চয়ই হামলাবাজ ।
সেই চোরাগোপ্তা গুলী –
কয়েকটা লাশ আর মাথার খুলী ,
মেশিনগানে উদ্ধত্যের হাততালি -
মৃত্যুর সাথে আমরা রোজ খেলি - রক্তহোলি।”
*** চিঠিটা এসেছিলো
কার্গিল থেকে লাল দগদগে খামে ,
কফিনের সঙ্গে- পারমিতার নামে !***
”