( এটি আমার ব্যাক্তিগত মতামত , কবিতার জ্ঞানী-গুণী কবি মহোদয়দের কাছে ! অকবিদের দলে আমিও আছি ! তাই এই কবিতায়আমার সাহায্য প্রাথনা শুধু ভাল কবিতা পড়তে চাই বোলে ! হোক না তা মাত্র ১০ বার পঠিত ! )
====================================
কবিতার সন্ধানে তিনটি চরিত্র ,
' প্রকাশিত ,পঠিত ও মন্তব্য ' -
কবিতার মানদণ্ড -
ওরা কবিতার – আসরে, কবির মিত্র !
‘ প্রকাশিত ’ তাই সৃষ্টির আত্মপ্রকাশ ,
কবির সৃজনশীল আত্মবিশ্বাসে-
নাম লেখা কবিতার পাশে !
হায় এখানেও কিছু কিছু প্রকাশনা ,
খন্ডিত ছোটছোট-পড়ে অপুষ্টির দলে,
স্বাদহীন-গন্ধহীন কাঁচা ফল,
নীরস ‘ সংখ্যাই ’ যেখানে সব বলে ,
বোঝে না – প্রকাশিত কত ?
দেখেনা কেহ ,
খোঁজে শুধু এখানে ,
কটি পরি -পুষ্ট চেতনায় গুণগত মানে !
‘ পঠিত’- এখানেও সংখ্যার হিশাব ,
আছে ছোট ছোট দলের প্রভাব-
ভালো কবিতার পাঠকের খুবই অভাব ;
ছোট দলে ‘আমি-তুমি’ ,
পঠন সংখ্যা বাড়ে –
আমারে দেখিলেই,দেখিব তোমারে-
এটাকি বোকামি , না পাগলামি ?
কবিতার মানদণ্ড কবির চিন্তনে,কাব্যরস গঠনে,
কবি গর্বিত তার সৃষ্টিতে-
লোভ লালসা থাক ‘ আমি-তুমিদের’
দলবদ্ধ শতাধিক পঠনে !
একটি মাত্র ভ্রমর ,
কিংবা রঙিন প্রজাপতি খেলে
কবিতার এক লাল গোলাপের মনে !
‘মন্তব্য ‘ কবিতার সম্পদ –
কবির প্রত্যাশায় ,
কবি দুখী হয় , হটকারির চাটুকারিতায় ;
কবিতার শ্বাস রোধের এই যন্ত্রনা ,
ওরা বোঝে না , কেন জানিনা !
‘মন্তব্যের ধারাল অস্ত্র যদি থাকে কসাইয়ের হাতে ,
কবিতার মুল্যায়ন হবে ,শুধুই রক্তপাতে –
কবির লাভ কি তাতে ?
বরং এই অস্ত্র যদি থাকে
শল্য- চিকিৎসক ( কবিদের )এর হাতে ,
কবিতার রোগমুক্তি সঠিক অস্ত্রপোচার ও
গঠনমূলক ঔষধের ( মন্তব্যের ) চিকিৎসাতে !
এসো কবি বা অকবি , আমি-তুমি সবি
ভুলে গিয়ে সব দম্ভ ,
কবিতার এরা স্তম্ভ !
তাই বলি কবিতারে-
চিন্তনে রাখিব ত্রয়ীরে
“ প্রকাশিত ,পঠিত ও মন্তব্য,”
সততার শপথ করি এই কবিতার-আসরে !!
’