*** ( শুভ দোল যাত্রার শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন ! আজ তো আবীরে রঙিন হোয়ার হাতছানি দিকেদিকে ! তাই ভাঙের নেশায় বুদ হোয়ে  সত্যিই চশমাটা ভেঙ্গেছে ! তাই একটু চটুলতা বন্ধু ! আমি জানি দোলে সাত খুন মাফ ! আপনাদের জীবনও দোলের রংয়ে রঙ্গিন হোয়ে ঊঠূক ! ) ***
===================================



ঘাতক সকালটা ,
             আমায় ঘ্যেটে ‘ ঘ ‘ বানালো ,
          যখন , হাত থেকে পড়ে চশমাটা ভাঙ্গল !
পুড়নটার অবস্থা আরো করুণ ,
    ডাটি মিসিং-
         চোখে দিলেই টাল খেয়ে বলবে-
                         প্লীজ ,আমায় ধরুন !

অতএব  ‘ ফাঁন্দে  পৈড়া বগা , কি  কাঁন্দে ''?
                                      এক্কেবারে না -বগা-না ,
  বরং   ‘আমি’ শাহজাহান-   “ কারারূদ্ধ বন্দী জাঁহাপনা ” ,
           পিতারেও   অবজ্ঞাতে ছুড়ে ফেলেদেয়- লালসার ঘৃণা ;
বৃদ্ধরে  জীবিত রেখে
         কোরেছে যন্ত্রণায় ভড়া ক্ষমা ,
               ধীক তোরে  পাষণ্ড বেঈমান ,
                   ঔরংজেব- আমার ‘ চশমা ’ !
ঠিক তখনই পোষা ‘টিয়া’ -
                 মুমতাজও বিরক্ত-
              ঝটপটানিতে প্রতিবাদী, চায় কি হোতে মুক্ত ?
ব্যাস মন নাটুকে হল -
         খাঁচারে বলি “ বেগম সাহেবা ,  তাজমহলের-
                   সুখের দুয়ার দিলাম খুলি ,
                  যদি চাও –যাও চলি ভাগ্যদোষ আমার ,
        
   'চশমা'ও তো ত্যাগ দিয়েছে আমারে ,
    দৃষ্টির স্বচ্ছতারে অস্বচ্ছ  কোরেছেআবার !                      
  যদিও নাটকে বাকী ছিলো আরো ,
                        থাক আজ, ঘড়ির কাটায় বাজে বারো !
হাতে ভাঙ্গা চশমা
              গিন্নীর হুঙ্কারে বোমা ,
‘মুমতাজের খাঁচা খুলেছো কেন ?
সব সব্জি খুটেখুটে খেলো-নস্ট হল
        অপচয় শুধু অপচয়- কাল আবার বাজার এনো  !”
টিয়া আবার খাঁচায় , চেঁচায় ‘ মা , ম্মা ,মা ’-
    ভাগ্যিস বলেনি  ‘ চ শ মা  ’!!