***(  শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ দেব ঠাকুরের ১৭৮ তম জন্মদিবসে আমার   দেবতাকে কবিতাটির মাধ্যমে শত কোটি প্রণাম জানালাম ! ঠাকুর জাতপাত বিচার করতেন না ! উনি লোকশিক্ষায় বিশ্বাস  কোরতেন আর ছিলেন মাটির কাছাকাছি !)***********************************

গ্রামের সবটাই জবরএর  কব্জায়, দখল  
       উদ্বাস্তু - কলোনিতে ছিল-
    মধ্য-নিম্ন ও অল্পকিছু উচ্চবৃত্যের দল,
    
      সে সময় শৌচকর্ম , মাঠে ঘাঁটে বা হাল্কা জঙ্গল ,
         উচ্চবর্ণে ছিল খাটা- পায়খানার চল ,
               বিজলী দুরাশা , নেই কলের জল !

আজ আর জানেন  কজন ?
            পরিসেবা দিত -
                       ওরা হরিজন  !

   সেই  কাকভোরে-
             নাক ও মুখ বাঁধা  ওদের-
                            সাদা কাপড়ে,
                   মানুষের বাহ্য  মল-মূত্র , থুতু- কফ-
             ওরা বোয়ে চোলেছে-
                                       মাথায় ধোরে ,
                      ওল্টানো  বালতির মতো দেখতে-
                                     দোমড়ানো   টিনের ডাবরে !
                  ঘৃণারে ঢেকে রাখে ওরা , ঘৃণা দিয়ে-
                                 ঘৃণা করে দারিদ্রতারে ,
                  ওরা তো অচ্ছুৎ হরিজন ,
                           নাক-মুখ ঢাকা তাই সাদা কাপড়ে !  
  বিধাতার অভিশাপ বুকে নিয়ে
                   ওরা  দৌড়ায় , জোরে জোরে পা চালায়-
       বড় রাস্তার শেষ প্রান্তে
             ‘ ট্যাঙ্ক গাড়ি’ দাড়িয়ে ওদের অপেক্ষায় ,
       পৌছতে হবে যে আগে ভাগে-
            তারপর সকাল সূর্যকে নিয়ে জাগে ,
                     পৌছতেই হবে যে  ওকে এর  আগে   !
    সারিসারি ট্যাঙ্ক গাড়ি নিয়ে যাবে ,
                        ওদের মাথার বোঝাই করা ঘেন্নাকে ,
          এ ভাবেই ওরা    সেবা করে সমাজের ,
                            চেপে রাখে অবহেলার কান্নাকে !
                                
         সকাল জানান দিল,   সূর্যের আলোয় !

    ফিরে জায়   ওরা,
        হরিজন বস্তির  এক অন্ধকারের  ঠিকানায় ,               দিনের আলোয় ছায়ায় ,
                 ওরা যে অচ্ছুৎ ,
                     লুকায় নিজেরে ,  সভ্যতার ঘৃণায়  !!