**(   স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম সার্ধশতবর্ষে আমার     ‘ মানুষ ’ কবিতার মাধ্যমে  সেই  মহামানবকে শ্রদ্ধ্যাঘ্র  নিবেদনের এক ক্ষুদ্র প্রয়াশ ! তিনি  বলেন  ‘‘ জীবে প্রেম করে যেই জন , সেই জন সেবিছে ঈশ্বর ” !
আরো এক মহাত্মা ,  কবিগুরুর আক্ষেপ কোরে ছিলেন “ হে বঙ্গ জননী , ...                                                                  সন্তানেরে রেখেছো বাঙালী কোরে, মানুষ করোনি ! ’’)**

======================================
               মানুষ জ্ন্মায় তো    মানুষেরই যন্য !
    ধর্ম কর্ম জাতী ও পদবী কোরেছে তারে ভিন্নভিন্ন ,
            হিংসা ,লালসা-লোভ-ক্ষোভ-
                            পাপী মানুষেরে করেছে নগণ্য ,
        মানুষেই রাখেছে  বিশ্ব মাঝারে      মহামানবের পদচিহ্ন ,
                                শুধু মানুষের ই জন্য ;
   স্রোশটার এই অপূর্ব সৃষ্টি মানুষ হোয়েছে অনন্য !
                               শুধু  মানুষেরই যন্য !

মানুষেই আছে দয়া-মায়া-ক্ষমা  
               প্রেম প্রিতী প্রাণের ভালোবাসা ,
      লুকীয়ে আছে ক্রোধ- লোভ-মোহ , নীরাশা- হতাশা !
  মানুষে-মানুষে কেন আজ এতো  হিংসার হানাহানী –
        যুদ্ধ দুয়ারে কড়ানাড়ে রোজই     দেয় ক্ষমতার হাতছানী !
  ধর্মান্ধতা, সন্ত্রাশবাদ মানুষেরে আজ  কোরেছে ক্রীতদাশ ,
                 নিজের হাতেই রচিছে মানুষ , মানু্ষের সর্বনাশ ;
      নিরীহ মানুষ সঙ্কীত আজ লালশার  ক্রুদ্ধ হুঙ্কারে-
                  প্রতিবাদের কন্ঠ ভাষাহারা আজ
                                 মাথা ঠোকে  বিচারের দ্বারে দ্বারে!
অজ্ঞতার  কালোমেঘে ঢেকে আছে মানুষের চিন্তন ,
          ভোগ বিলাসে মত্ত  মানুষ,    
              হোয়েছে আজ মুল্যবোধের অধঃপতন !
সুখের পিছনে উন্মাদ হোয়ে ছুটিছে দিশাহীন মানুষ ,
       অধরা সুখ তবে কী আজো মরীচীকার ফানুশ ?
মানুষ  এখন বড় অশহায় ,
        রেষারেষি আর প্রলোভনে জড়ায় ,
               না পাওয়া  কে মিছে ধরিবারেরে জায়-
         কীট পতঙ্গ যেন আগুনে ঝাপায় ,
             মানুষও ডুবে যায় ঘন আঁধারে,হাহুতাশ হতাশায়   ;
     তবুও অবুঝ , আরো আরো সুখেরই পিছু ধায় !
          
জীবন তোমারে দেবে না সময় , হে মানব-
                সুযোগ তো পাবে একটাই ,
রহিবে  স্মরণে শুধু  কিছু কাজ,
            উজাড় কোরে দিতে পারো আজ ,
          পেলেও হয়তো পেতেপারো মানুষ     আগামীতে  ঠাই !
স্বামীজী ,কবিগুরু রবীন্দ্র ও কাজী নজরুল ইসলাম ,
ঐ মহাত্মাদের অমর কীর্তি     চিরকাল পাবে মানুষের সেলাম !
  অবুঝ মানুষ পায়না দেখিতে শেষের হোয়েছে যে শুরু ,
                হয়তো  মানুষ হারিয়ে যাবে ,
                                  হবে লুপ্ত প্রাণী,
                    বিশ্ব সংসার হবে সেদিন প্রাণহীন এক মরূ !
এই দুর্দিনে  মহাত্মাদের মানুষের প্রয়োজন ,
          সবে মিলি এসো করি তার ই আয়োজন ,
               সেবাই  তো  প্রার্থনা,পূজা বা প্রেম-গান ,
                    সাথে রবে জীব জনগণ ,
                       শত্রু-মিত্র ,পর বা আপন !
একই শুরে এসো  সবেমিলে গাই মানুষের গান ,    
                    আমরা বিশ্ববাসী ,
        মানুষে-মানুষে নেই ভেদাভেদ –
                       একই মন ও একই  চিন্তন -
                   আমরা সবাই    শুধু ভাই- বোন-
            ‘  মানুষের মতো  মানুষ হোয়েই
                             বাচতে ভালোবাসি '' !!