আমি তোমায় দেবীর আসনে বসিয়েছি,
আমি তোমায় দূর্গার রূপ দিয়েছি,
আমি তোমায় চণ্ডীর রূপ দিয়েছি,
কখনো ধ্বংসে কখনো সৃষ্টিতে যখন যেমন
প্রয়োজনে ব্যবহার করেছি ;
তোমার থেকে কিছু পাবো বলেই তো তোমায় সম্রাজ্ঞী বানিয়েছি,
আমিতো বলাৎকার আর শোষণের শিল্পী, আমি দাসত্বের স্বাদ বুঝি;
আমি চতুর ব্যবসায়ী কোথায় তোমাকে বসালে লাভবান হব
আমি তা ভালই জানি,
আমার স্বার্থ চরিতার্থের শিল্পী-মন, আমি বিজ্ঞ;
আমি খুব ভালো বুঝি খুব ভালো জানি,
তোমাকে কোথায় সাজাবো কিভাবে তোমাকে সাজাতে হবে,
আমি নারী শোষণের সেই কবি আমাকে তুমি জানতে চেওনা তুমি বুঝবে না,
তোমাকে সরস্বতীর রূপ দিলাম তুমি বিদ্যার দেবী,
তোমার বিদ্যালয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই,
তুমি সংসার ধর্মে ব্রতী হও তুমি পতিব্রতা নারী,
তোমাকে লক্ষ্মীর রূপ দিয়েছি লক্ষ্মীর ভান্ডার তোমার কাছে,
তোমাকে অন্ন সন্ধানে যেতে হবে না,
তুমি সংসারধর্মে ব্রতী হও তুমি রত্নগর্ভা জননী,
রূপ দিতে দিতে তুমি বহুরূপা হয়ে গেলে কখন অজান্তে,
আমি দিন-রাত এক করেছি কত মাথা খাটিয়ে,
যখন তখন যে কেউ বোধন করবে এ হতে পারে না;
তোমার অপরূপ সৌন্দর্য ঢেকে দিলাম কাপড় দিয়ে,
নাম দিলাম লজ্জাবতী নারী;
তুমি কিভাবে ছুটবে খোলা মাঠে তোমার মস্তকে অনেক শিরোপা,
তোমার পায়ে ধর্মের শিকল, সমস্ত শরীর জুড়ে অস্ত্র।
আমার ঘুম ভেঙে গেল হঠাৎ একদিন সকালে উঠে দেখি
তুমি 'নারী' তুমি প্রাকৃতিক তোমার মধ্যে আমি লুকিয়ে আছি।