গাছের নিচে

আমি যখন গাছের নিচে দাঁড়াই
আমাকে গাছ ছায়া দেয়,
আমি তাঁর ছায়ায় আপাদমস্তক ভিজিয়ে শ্রান্ত হই,
উষ্ণ বাতাসও এখানে শীতল হয়ে জিরিয়ে নেয়
তা গাছেদের অহংকার,
বাতাসকে সে যে শুদ্ধ করে রাখে।
আমারও গাছের মতো অহংকারে বুক ফেটে চৌচির হবে যেন!
দ্যাখো আমি দাঁড়িয়ে আছি বলেই না এতো মানুষ এইখানে,
এই গাছের ছত্রছায়ায় প্রাণ জুড়িয়ে নিচ্ছে!
আমার লাবণ্যে গাছেরও যে রূপ বেড়ে গেল,
গাছ কী সেকথা অস্বীকার করেছে? কেনইবা হবে না
আমিও যে এই প্রকৃতির-ই অংশ,
আমার আজ রূপ ধরেছে, আমি কেমন নৈসর্গিক দ্যাখো এই ভরা বিষণ্ণ দুপুরে।
আমি রূপবতী নারী আমি গাছকে সঙ্গ দিয়েছি , তার শোভাবর্ধন করেছি বলেইনা
এতগুলো অপরিচিত পথিক তাদের জীবন থেকে এতটা সময়ের মৃত্যু ঘটাল।
জানি কাঠফাটা রোদ্দুরে তাদের হাড়ভাঙ্গা জীবনের এক ছটাকের কোনো মূল্য নেই!
তবুও কী প্রয়োজন ছিল আমার সাথে মৃত্যুতে সামিল হবার?
বিশ্বেস করো আমার কোনো অভিপ্রায় ছিল না তাদের সাথে সময় কাটাবার!
ওরা আমার রূপে আবিষ্ট হয়ে মায়াজালে আবদ্ধ থেকেছে,
গাছের সাথে নয়, আমার সাথে আমার সাথে
শুধুমাত্র আমার সাথে, তাতেইতো আমার এত অহংকার!
এইগাছ এই বড় জীর্ণ বট গাছ তাঁর আবার
কীসের রূপ কীসের লাবণ্য যে তাতে তাঁরা মোহিত হবে?
দ্যাখো আমার অপরূপ রূপে তাদের ক্লান্ত চোখ শ্রান্ত হল যেন!