আমি নিজেকে বেঁধেছি বিছানায় মশারির মধ্যে
নিজেকে নিভৃত আড়ালে রেখেছি।
এখানে আড়ালের অন্তরালে মশারির অসংখ্য ছিদ্রের সমাবেশ দৃশ্যমান,
সেইসব ছিদ্রের মধ্য দিয়েই ক্ষুদ্র প্রাণের প্রবেশ কোথায়?
অফুরন্ত বাতাসের অবাধ আগমনে বাধা,
আমি নিশ্চিন্তে ঘুমোবো বলেই-না এত আয়োজন!
তবুও ঘুম কোথায়?
মশারির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্রের সাথে,
ভাবনারাও যেন অতি ক্ষুদ্র হয়ে গেছে;
বিভেদ-বিভেদ ভ্রাম্যমাণ সব তবুও স্থিতিশীল যুগ যুগ ব্যাপী।
ব্যবধানের প্রাচীর এখানেও - তবুও অস্থায়ী,
কিন্তু সেই সব ব্যবধান আমাদেরই আশেপাশে
আষ্টেপৃষ্ঠে যুগ যুগ জেগে আছে,
আমরা তখন ভুলে যাই আমাদের একান্ত আপন - নয় তাঁরা,
আমাদের প্রিয় জন ভাই-বন্ধু, পুরুষ-নারী সকলকে
সংগোপনে ধীরে ধীরে নিয়ে গেছে দূরে বহুদূরে।
আমাকে তোমার কিংবা তোমাকে আমার
এই ভাষা আর বেঁচে নেই,
সব শেষ হয়ে গেছে যেন।
আজ বহুদূরে দাঁড়িয়েছি অথৈ সমুদ্রের বুকে,
দিক্চক্রবাল বলে যা-ছিল একদিন,
সব অনন্ত আকাশের বুকে পাড়ি দিয়েছে যেন;
যেন শুধু মাত্র কালো মেঘ!
ঝড় হবে বুঝি!
ঝড় হবে বুঝি!
সংঘাতের শব্দময় জীবনের চিত্র ফুটে ওঠে চোখে মুখে।