"আমি ঈশ্বর আমি দেবী!
আমিতো নই কোনো "নিবারণের" সেবিকার গৃহ বেদী।
আমি সবার স্বপ্ন,
আমি জন্মের আমি মৃত্যুর আদি লগ্ন।
আমি সত্য আমি মিথ্যা ,আমি ভ্রমরী ,আমি প্রচেষ্টা।
আমি সুখ আমি লালসা, সর্ব কীটের চিন্তার আমি সৃষ্টিকর্তা।
আমি সৃষ্টি আমি ধ্বংস, আমি মহাদেবের অন্তিম অংশ।
আমি দেবী আমি নারী, আমি প্রেমের পূজারী,
আমি ভালোবাসা আমি কামের চিত্তাকর্ষক নেশা।


আমি তুচ্ছ নই ,আমি রত্ন নই, আবার সর্বজনের গৃহীত এঠো পাত্র নয়।
আমি দিগম্বর আমি চমক, মানব জাতির ইতিহাসের আমি শ্রেষ্ঠ নারীর ধমক।


পথ সোজা নয় প্রাপ্তি আমার! অতি কঠিনের ওথবা অতি সরলের আঁচলে বন্ধন আমি নাই।
তোমার চোখে প্রেম আছে অনুভব করছি আমি
কিন্তু এখনো তুমি আমার পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করো নাই।


"হে নিবারণ" আমার প্রাপ্তির আশায় তুমি ভুলেছো কি?
নিজের অস্তিত্বের দরজায় দাঁড়িয়ে তুমি শুনেছ কি?
আমি যে দেহ নয় কিন্তু আমি নারী
তোমার মনের আঁচলে অস্তিত্বের জটার বন্ধন বানাতে আমি পারি
কিন্তু পাবেনা তুমি আমায় এক জন্মে।
জন্মাতে হবে তোমায় বারংবার এই কীটের অঙ্গে।
অসহ্য বেদনায় তুমি ভুগবে সারা জীবন
বাহ্যিক কষ্ট নয়,শরীরের বিকলাঙ্গ নয়
তোমার জ্বলবে শুধু মন। আমার প্রাপ্তির আশায় আমার প্রাপ্তির নেশায় ধরতে হবে তোমায় সাত জন্ম
ভবিষ্যতের কোনো দিগন্ত মাঠে উজ্জল জ্যোৎস্না ভরা রাতে আমি থাকবো তোমারি মগ্ন।
জড়িয়ে ধরব সেদিন তোমায়! তৃপ্তির পরম সুখ ছড়াবো সদায়।
নিজের করে তুলবো তোমায়
আমি হব তোমার অঙ্গ তুমি থাকবে না আর কীটের সঙ্গ।
শীতের এই রাতেই তোমায় আমি করে নেব আমারই।


পথিক কেদোনা তুমি আজ
মুছে চোখের জল করে নাও জীবনের সাজ।
তুমি পথ বেয়ে যাও তোমারি পথে
সেই দিগন্তে মিলনের অপেক্ষায় আমি থাকবো তোমারি বানানো রথে"

  ----- দীপক -----