হে নারী
---------------
হে নারী তুমি যেনো স্বর্গের পরী
তুমিই তো পুরুষের ব্যক্তিত্ব।
তুমিই তো কবির হারিয়ে যাওয়ার পুরনো ভালোবাসা
তুমিই তো সেই কবির অর্ধ ছন্দের মিলনের অন্তিম আশা।
হে নারী তুমি তো প্রকৃতির অদ্ভুত রোচন।
যার অন্তিম নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে জড়িয়ে আছে কতই না গুপ্ত বচন।
তুমিই তো সেই বিশ্ব গর্ভধারনি
যার রক্ত মাংসে পালিত হয়েছে যুগ-যুগান্তরে কত বীরের উজ্জ্বলিত পতাকা ধ্বনি।
হে নারী তুমি তো সেই বদ্ধ ঘরের কান্নার প্রতিদ্ধনীর অতীতের মহামারী।
তুমিই তো সেই চোখের অন্তিম নোনা জল।
যার দ্বারা পিপাসা মিটিয়েছো তুমি দুর্ভাগ্য জননীর বক্ষ ফাটা ভূতল।
হে নারী আমি জানি তুমি সর্বকালেই পীড়িত।
হরপ্পা হোক, গুপ্ত হোক, মোগল হোক সর্বকালেই পূজিত তুমি কিন্তু বাস্তবে নির্যাতিত।
হে নারী আমি জানি
অতীতের সতী নামে যে হিংস্র কালো হাসি ছিল, তা বর্তমানেও বিকশিত।
পরিবর্তন হয়েছে শুধু পৃথিবীর আইন খানা কিন্তু হয়নি পুরুষের চিত্ত।
হে নারী তোমাকে বলছি আমি"
করো যদি পরিবর্তন তবে শুধু দেহের নয়, করতে হবে মনেরও। শুধু ভগবানের চিত্তাকর্ষ না জড়িয়ে ধরে বেরিয়ে পড়ো তুমিও।
খুঁজে নাও নিজেকে নিজের মতো
পাশে না দাঁড়িয়ে এক কদম উপরে বসো"।
ঊর্ধ্বে উঠো তুমি সর্বসেরা হয়ে
এই কামনায় করবো আমি তোমারই রচয়িতা হয়ে।
তবে তুমিও যেন এটা ভুলে যেয়ো না মনুষ্যত্বের তরীর একটাই দড়ি তারে তুমি ছিঁড়ে ফেলো না..
তারে তুমি ছিঁড়ে ফেলো না....