দিবানিশি মোরা কর্ম করে যাই
কখনো থাকে ক্ষুদার জ্বালা, কখনো বা খাই;
ফুটপাতের খাবার নতুবা নামি দামি পণ্যে।
যুদ্ধ করে যাই সবে
শুধু, এক মুঠো ভাতের জন্যে..................
কেউবা কাজ করে ইটের ভাটায় ;
ভাটার দাপে, সূর্যের তাপে
কর্দমাক্ত দেহের ঘাম ঝরে পড়ে গায়।
শুধু, একমুঠো ভাতের জন্যে....................
কেউবা চালায় ভ্যান, রিক্সা, ঠেলা;
পেশির জোরে, প্যাডেল ঘোরে
পণ্য বা মানুষ বয়ে, কেটে যায় বেলা।
শুধু, একমুঠো ভাতের জন্যে...................
কেউ কাজ করে পরের বাসায়;
কাজের শেষে, অবশিষ্ট থাকা আহার জোটে
কখনো যৌন সঙ্গী , কখনো করে প্রহার।
শুধু, একমুঠো ভাতের জন্যে.....................
কারো আছে টাকা কড়ি, নেই মাতৃ প্রেমের ছায়া;
সৎ মায়ের অত্যাচারে, খাবার কভু জোটে নারে
অন্য মুখে খাবার খোঁজে, কেউ করে না মায়া।
শুধু, একমুঠো ভাতের জন্যে......................
কেউ থাকে অট্টালিকায়, রাজার মতো করে বাস;
সাদা-কালোয় নেই হুঁশ, ঘুষে পকেট ভরতে বেহুঁশ
তবুও তার টাকা চাই, উচ্চাকাঙ্ক্ষী অভিলাষ।
শুধু, একমুঠো ভাতের জন্যে.........................
কেউবা করে ডেটিং , মানুষকে নিয়ে চিটিং;
সারাবেলা মক্কেলের খোঁজে, সুযোগে ফাল দিয়ে বসে
চুরি ডাকাতি ছিনতাই নিয়েও, করে যায় মিটিং।
শুধু, একমুঠো ভাতের জন্যে.........................
এই দুনিয়ায় আছে হরেক রকম মানুষ;
কেউ লোভী , কেউ ভোগী
কেউ সরল , কেউ গরল
কেউ করে মানসিক শ্রম, কেউ কায়িক পরিশ্রম
সবাই করে জীবনের সাথে যুদ্ধ
শুধু, একমুঠো ভাতের জন্যে...........................
কবিতার থিম ও পরিকল্পনাকারী : Diba chakraborty.