আমি বঙ্গবন্ধুর কথা বলবো।
তাঁর স্বপ্নে-তাঁর-কল্পনায়-তাঁর ভালোবাসায়
একটি দেশ , একটি স্বাধীন স্বদেশের কথা বলবো।
তাঁর ধ্যান-ধারণায় , আজীবন সংগ্রাম-সাধনায়,
“ রক্ত যখন দিয়েছি , রক্ত আরো দেবো
তবু এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো-ইনশাল্লাহ।“
দূর্বার-দূর্মর প্রতীজ্ঞায় আর গঢ়ুড়ের পাথুরে অঙ্গীকারে পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান করে নেবে, মুক্ত-স্বাধীন একটি ভূখন্ড।
একটি দেশ, একটি স্বাধীনতা।
যে দেশ ও স্বাধীনতার স্বপ্নে আবালবৃদ্ধ গণজনতা
বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়েছিলো
“ বাঁচার মত বাঁচতে চাই “ বলে
“ হিমালয় থেকে সুন্দরবন “ – কাঁপিয়ে তোলেছিল
আর মারনাস্ত্র বুকে নিয়ে বাংলার বিধূলার সন্তানেরা
মেঘালয় থেকে আগুনমুখো নদীর উজান স্রোতে ঝাঁপ দিয়েছিলো অররু হন্তার মরণ-পণ প্রতীজ্ঞায়
এবং ছিন্ন-ভিন্ন করেছিলো কূটিলা কদ্রুর সকল দাম্ভিকতা
মুক্ত করেছিলো মাতা বিনতাকে।
সেই মাতা বিনতা: আমার দেশ , আমাদের স্বাধীনতা।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে-কল্পনায়-ভালোবাসায় : মুক্ত স্বাধীন স্বদেশ।
যে দেশ হবে আপামর গণ-মানুষের।
কোন আমলার নয় , কোন কামলার নয়।
যে দেশ বাঁচার মত বাঁচার নিশ্চয়তা দেবে।
কোন বিচার বহির্ভুত হামলা-মামলা-খুন-গুম নয়।
যে দেশ কথা বলার স্বাধীনতা দেবে।
কথা শোণেন , কথা বলবেন না-এর নয়।
যে দেশে নেতা-মন্ত্রী-আমলা-রাষ্ট্রযন্ত্র হবে গণমুখী
চামচা-ঠিকাদার-দালাল-বাটপার তৈরীর কারখানা নয়।
যে দেশের আইন-বিচার প্রশাসন হবে গণমানুষের কল্যাণমুখী দমন-পীড়ন-নির্যাতন-শোষন-দলীয়করণ নয়।
যে দেশ হবে গণতান্ত্রিক , গণপ্রজাতান্ত্রিক, গণজনতার।
দলতান্ত্রীক-পরিবারতান্ত্রিক-স্বৈরতান্ত্রিক নয়।
যে দেশে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করা হবে , জাতির পিতা বলা হবে
তবে তাঁর নীতি-আদর্শ্-স্বপ্ন-কল্পনা-ভালোবাসা-স্বাধ সাধনাকে বিবর্জন নয়। আমি বঙ্গবন্ধুর কথা বলবো।
তাঁর গণমুখী ভালবাসার কথা বলবো।
তাঁকে যারা বিনষ্ঠ-অপমানিত করে কিংবা কলঙ্কিত-বিতর্কিত করে তাদের কথা ও বলবো ঘৃণা ভরে। তবে উত্তমাশা রাখি :
সবাই আসুক ফিরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ পথ ধরে।