রাণী বানিয়ে রাখব,
তোমার সব রাগ আর অভিমান মেনে নিয়ে
মনরাজ্যে রানী বানিয়ে রাখবো বলা
ছেলেটি একদিন বদলে যায়।
কথাটি শুনলে মাঝে মাঝে বড্ড হাঁসি পায়।
কিছু কিছু মানুষ আবেগের মোহে
খুব সহজেই বলে ফেলে
আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না।
সত্যিই কি তাই?
সত্যিই কি কেউ কাউকে ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব?
ভালোবাসার মানুষটির হাঁত ছেড়ে
একলা পথে হেঁটে চলাটা কষ্ট সাদ্ধ্য ব্যাপার হতে পারে
কিন্তু তাকে ছাড়া বেঁচে থাকাটা অসম্ভব কিছু না।
প্রথম প্রথম কিছু দিন একাকি চলা কষ্ট হয়, খুবই কষ্ট।
সবুজ শ্যামল সুন্দর এই পৃথিবীকেও তখন ধূসর মনে হয়। জীবনটাকে মনে হয় অর্থহীন।
তবুও পৃথিবীর কোন এক অদ্ভুদ মায়ার টানে
মানুষ বেঁচে থাকার জন্য
মনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকে,
একাকি চলার লড়াই।
লড়াই করতে করতে মানুষ এক সময় মনের মাঝে একাকিত্বের নিজস্ব একটি জগৎ তৈরি করে ফেলে।
যে জগতকে সে নিজেই সুন্দর ভাবে নিয়ন্ত্রন করে।
ধীরে ধীরে পুরনো সব কিছু ব্যস্ততার মাঝে হারিয়ে,
শিখে যায় কাউকে ছাড়া একাকি বেঁচে থাকতে।
মানুষ মরে গেলে পঁচে যায়। বেঁচে থাকলে বদলায়।
হুম সত্যিই তাই,
মানুষের জীবন তেমনি গতিশীল নদীর মত
ক্ষনে ক্ষনে বাঁক বদলায়।
অভিমান করার সুযোগ টুকুও দেয় না।
তখন সবই বাড়াবাড়ি আর ভুল মনে হয়।
তোমাকে পেলে কিছু লাগবে না,
বলা মেয়েটি ও একদিন বলে,
"তোমাকে ভালোবেসে, তোমার ঘরে এসে
কি পেলাম, কি দিয়েছো তুমি আমায়?
আবেগ, সব ই আবেগ।
আবেগ দিয়ে প্রেম চললেও সংসার চলে না,
জীবন চলে না।
বাস্তব বড় কঠিন, বাস্তবতার গল্পটা বড়ই কঠিন।
যে গল্পের শুরু আছে ঠিকই কিন্তু শেষ নেই,
যেখানে একটি গল্প শেষ হয়,
সেখান থেকেই অন্য একটি গল্পের
সূত্রপাত হয়।।