লেলিহান বিষজিহ্বা বাড়িয়ে দিয়ে ‘করোনা’ গিলছে বহু প্রাণ,
মানুষ আপন পায়ে বেড়ি দিয়ে হয়েছে ঘরবন্দী বাধ্য হয়ে,
রাজা-মহারাজা শ্রমিক-ভিক্ষুক মিলেই কোয়ারেন্টাইনভুক্ত,
এখানে ক্যাবিনেটে উঠেছে নানামুখী বাকবিতণ্ডার ঝড়
প্রশ্ন উঠেছে ‘করোনা’ জিতবে কি হারবে, কার কি মত?
শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছে একরকম, অধস্তনরা কিছুটা ভিন্ন,
যৌক্তিক-অযৌক্তিক বাকবিতণ্ডা মোটেও কম হচ্ছে না;
প্রতিষেধকসহ পূর্ণ রোগমুক্তির ওষুধ উদ্ভাবন হয়নি
মানুষ কি এখানে সুবিধাবঞ্চিত? না,সহয়তা পাচ্ছে তারা,
কোয়ারেন্টাইনে মন বসছে না জানি, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে;
ভিন্ন কোন পন্থা নেই রক্ষা পাবার জন্যে, স্টে হোমই চাবিকাঠি;
বিধিনিষেধ রক্ষা, এটি হোক সবার প্রাত্যহিক কর্তব্য ও চর্চা।
ঐদিকে কফিনবন্দী হচ্ছে কত শত লাশ নিত্যনৈমিত্তিকভাবে।
কোথাও গণকবরে লাশ থরে থরে সমাহিত করা হয়েছে সত্য,
অসঙ্কুলান অবস্থা সে এক নির্মম বাস্তবতা, এক করুণ চিত্র!
কিন্তু এতে কারো কোন দোষ নেই, এটি এক কঠিন বাস্তবতা!
কোথাও দেখা গিয়েছে শবদাহে মুখাগ্নির জন্য কেউই নেই
তাও জোড়াতালি দিয়ে সে শূন্যস্থান পূর্ণ করা হয়েছে।
মানুষের ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস,এমন নির্দয় বিধান!
পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে অনিয়মমত কর্ম সম্পন্ন করতেই হয়।
এখানে হবুস্থবু হয়ে দাঁড়িয়ে সকল অঙ্গরাজ্য,ছবির মত,
জনাকীর্ণ, প্রাণোচ্ছল অ্যামেরিকার শহরগুলো আজ স্থবির-নিথর!
রাজ্যরা ঠিক সন্তানহীনা মায়ের মত অঝোরে ঝুরছে নিয়ত।
‘করোনাভাইরাস’ খুবই ভয়ঙ্কর, হিংস্র জল্লাদ, এটি অদম্য শত্রু!
করজোড়ে কৃপা চাই বিশ্বপতির কাছে, যে একমাত্র ভরসাস্থল;
হে বিশ্বের অধিপতি, তুমি আমাদের পাপ মার্জনা কর প্রভু
আর কখনো ব্যভিচার, ধর্ষণ করব না চুরি করব না অর্থ-দ্রব্য;
খাদ্যসামগ্রী আর কুক্ষিগত করব না, আমি এই তওবা করি।
ওগো দয়াল অনন্ত-অসীম তুমি, বিমুখ হয়োনা এই ক্রান্তিলগ্নে,
হে কৃপাসিন্ধু, আমি সবার পক্ষে তোমাতে আত্মসমর্পণ করি,
আশা ও বিশ্বাস করি প্রভু, তুমি গ্রাহ্য করবে আমার প্রার্থনা।
হে দয়াল বিশ্ববর, তুমি আমার সকল ফরিয়াদ শ্রবণ করো প্রভু।
তথাস্তু, আমিন, আমেন,তাই হোক।।