আবছা প্রেমাভাসে আমি আদৌ বিশ্বাসী নই-  
ওগো প্রেমবিলাসিনী প্রাণোসখী; আমি ব’সে আছি  
ধরা ছোঁয়ার একান্ত আপন নিবাসে, একটু পেলব  
ফোরপ্লে’তে ক্ষণতরে নিজেকে নিমগ্ন রাখতে চাই।  
  

আমি অপেক্ষায় থাকি আমাতে চাপা থাকা উষ্ণ-    
ক্লাইমেক্সের আলোড়ন সারা অবয়বে কখন ছেয়ে
যাবে বিদ্যুৎ প্রবাহের মত? অতঃপর রুদ্ধদ্বার      
অভিসারে যাপিত হবে চরমানন্দের মধুযামিনী।    
  
আমি ইম্প্র্যাক্টিক্যাল বিশ্বাসী নই ‘নিরুপমা’-  
আমি এক প্র্যাক্টিক্যাল ব্যাক্তিত্ব; সকাল-সাঁঝে  
আমি রাধাশ্যামের বিরহ গীতি শুনি; শয়নকালে    
কবি কাজি নজরুলের প্রেম গীতিতে নিমগ্ন থাকি।        

আমি ভালবাসি বাসন্তী সকাল, আরও ভালবাসি-  
পৌষ সংক্রান্তির প্রাণোচ্ছল পৌষ মেলা, যেথা সারা
তনুমনে নিগূঢ় কামনা অনুভূত হবে; এমন হীমাবহে-
তুমি শুধু একান্ত আপনার হয়ে আমারই পাশে রবে।    
        
তুমি প্রভাতের অতিথি হয়ে পদব্রজে আসবে-
ঝরা শেফালির পথ বেয়ে আমার একান্ত নিকুঞ্জে;
তোমার উপস্থিতি হবে অকাতর শারিরীক উপস্থিতি,
সুতরাং আমি কল্পিত প্রেম চাই না সখী, কখনও না।
  
তোমার নাছোড় প্রেম নিবেদন ক্রমেই আমার প্রাণেমনে-  
দুর্বারভাবে প্রভাবিত, তনুমন বড্ড কামাপ্লুত আর হর্ষিত;  
অতএব সখী তোমার পরোক্ষ, প্রচ্ছন্ন প্রেম উপহারের প্রতি আমার আন্তরিক অ্যান্টিসিপেশন, সহৃদয় ‘সমাদর’ চিরনিরন্তর।