শঙ্কিত হৃদয় মম, করোনা শমনসম,
জল্লাদের হাতে মৃত্যুবাণ,
মম প্রাণ ওষ্ঠাগত, বুক কাঁপে অবিরত,
হিংস্র করোনা বধিবে প্রাণ!
প্রতিষেধক এসেছে, পুলকে মন হেসেছে,
প্রাপ্তির আশায় চেয়ে আছি,
আশা করি অনুক্ষণ, কাজে সঁপি তনুমন,
সহকর্মী পাবো কাছাকাছি।
মর্মে গাঁথা কত কথা, হৃদয়ে অনন্ত ব্যথা,
করোনা খেয়েছে লাখো প্রাণ!
হিংস্র শত্রু সরে যাক, বিশ্ববাসী স্বস্তি পাক,
ধরণি হোক বিশুদ্ধ স্থান।
জীবনের স্থবিরতা, নিরানন্দ নীরবতা,
এসবের দায়ী মহামারী,
মানুষের স্বপ্নগুলো, বৃথায় হয়েছে ধূলো,
ভাগ্যের খেলা বুঝতে নারি।
যত আশা ছিল চিত্তে গুমরে কাঁদে নিভৃতে,
বিনোদন নাই এই ভবে,
করোনার আক্রমণ, বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ,
মৃত্যুর চিত্র অম্লান রবে!
অর্ধমৃতাবস্থায় আছি, যম খাড়া কাছাকাছি,
অশুভ সুর বাজে দশ দিশি;
নিমেষের আশা নাই, কোথায় সান্ত্বনা পাই,
আতঙ্কে কাটাই দিবানিশি!
ওৎ পেতে বসে আছে, আবডালে কার পাছে,
কোনো হুঙ্কার শুনি না তার,
প্রাণঘাতী অসুর সে, নির্দয় ভাইরাস যে,
নিঃশব্দে প্রাণ নাশে অনিবার।
ভিন্ন রূপ ধারণ করে, জীবাণু এলো ধরা পরে,
সম্মুখে তিমির দেখতে পাই;
জানিনা নিস্তার কবে, করোনা কী দূর হবে?
আলোকিত ধরা দেখতে চাই।
শান্তি কোথা চলে গেলো, কিসে বিধি দুঃখ পেলো?
হিসাব মিলাতে নাহি পারি,
চতুর্দিকে পাপাচার, অপরাধ অনাচার,
স্বীয় অন্যায় বুঝতে নারি।
এক সিন্ধু দুঃখ মনে, খুলে বলি কার সনে,
কে শুনে কার ব্যথার কথা?
সব কথা বুঝে বিধি, সেই তো করুণানিধি,
যে বুঝে পাহাড়সম ব্যথা।
ত্রিলোকের ত্রাণনাথ, লহো মম প্রণিপাত,
মুখ ফিরায়ে রেখোনা প্রভু,
পদাঘাত করো যদি, সয়ে নেবো শেষাবধি,
ছাড়বো না তব শ্রীপাদ কভু।
তব পদাঘাত চাই, যে আঘাতে ব্যথা নাই,
সে আঘাত সুমধুর জানি,
সেই ব্যথা চাই আমি, বিশ্বনাথ বিশ্বস্বামী,
তব কৃপার কথা আমি মানি।
সাঙ্গ করি এ বন্দনা, ভক্তিময় আরাধনা,
প্রণমি তোমার রাঙ্গা পায়,
ভক্তিতে আসে সুফল, কভু হয় না বিফল,
এই আস্থা আছে কলিজায়।
নিত্য তব কৃপা পাই, সন্দেহের লেশ নাই,
তোমাতে সঁপেছি মনোপ্রাণ,
শান্তি এনে দাও ভবে, শত্রুমুক্ত হোক সবে
করজোড়ে যাচি পরিত্রাণ।