শৈশব কালে মায়ের কোলে ঘুমাতাম মনের সুখে,
বোধ হতো না কোন অভাব, বিষাদ ছিল না মুখে।
মায়ের দুগ্ধ খেয়ে হয়েছি পরিপূর্ণ একটি মানুষ
রক্ত মাংসের মানব দেহ, রং-বেরঙ্গের ফানুস !
মা হারা কোন কিশোর ছেলে যদি দূর প্রবাসে রয়
এমন অভাগা এই বসুধায় দ্বিতীয়টি কেউ নয় !
মা যদি হয় জনম দুঃখিনী, বাস করে ভাঙ্গা ঘরে,
সন্তানেরে বুকে আগলায় মা, রোগ বালাইয়ের ডরে !
মল মূত্র ত্যাগ করি আমি, সতত মায়ের কোলে ,
সেই মাকে আমি তুচ্ছজ্ঞানে সহসা থাকি ভুলে !
মায়ের মতো আপন কেউ নয় নিখিল বিশ্ব মাঝে,
মায়ের অবদান অনুপমেয় সন্তানের সব কাজে।
মায়ের দান অমূল্য ধন, সব সন্তানের জন্য
মাতৃ সেবায় ব্রতী হও ভাই, জীবন কর ধন্য !
মায়ের জঠর মন্দিরতুল্য, শ্রেষ্ঠ নিরাপদ স্থান !
মায়ের গর্ভ সৃষ্টির উৎস,যেথায় পেয়েছি প্রাণ!
জননী সবাকার বৃক্ষসম, সদা দেয় শীতল ছায়া
জননী আমার মৌলিক আশ্রয়, বুক ভরা যার মায়া!
মায়ের বাণী সুধার ফোয়ারা,সান্ত্বনায় ভরপুর
সন্তানের মাথে হাত বুলালে রোগ ব্যাধি হয় দূর !
আকুল মিনতি রইল সকল বন্ধুবরের কাছে,
জননীরে যদি কর অযতন, মন্দ পরিণতি আছে।
এই ধরাধাম মাতৃসম, যেথায় জীবের নিবাস”
জন্মদায়িনী অবনীসম,যেথায় আমার আবাস।
কেমনে শুধি মায়ের ঋণ ভবে,সেই তো ভেবে মরি,
অপরাধীরে ক্ষমিও মাগো, তোমার চরণ স্মরি !
মায়ের গুণকথা শেষ হবে না কবিতার চরণ মালায়
মা হারা হয়ে জ্বলছি ধরায়, বিরহিত প্রাণের জ্বালায় !
সাঙ্গ করি তবে মায়ের গুণগাথা এই কবিতাখানি
এসো নিঃশর্ত মনে, সেবি মাতাকে, মেনে চলি তার বাণী !