এই মনোরম পৃথিবী ছেড়ে, কেউ তো যেতে চায়না
মরণ পারে গিয়ে এমন স্থানটি যে কেউ পায়না।
কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক,কোথায় পরম শান্তি?
সদাই জাগে এই প্রশ্নটি,সেইকি মনের ভ্রান্তি?
কে ফিরেছে ওপার হতে এমন সুন্দর দেশে;
কে ফিরেছে সশরীরে সকল কাুর্য শেষে?
দেখিনাই কে পরম স্রষ্টা,এই জীবনে কভু,
প্রত্যাশার এই তীরে বসে সাধন করছি তবু।
আসবে কখন সুজন মাঝি, ময়ূরপঙ্খী বেয়ে,?
আসবে কখন দয়াল স্রষ্টা,ভরা জোয়ার পেয়ে?
ভব নদীর ভীষণ ঝড়ে কাঁপে আমার প্রাণ !
ঘোর তুফানে ডুবলে তরী, কেবা করবে ত্রাণ?
অদেখা হে মালিক সাঁই,তুমি আছো কোথায়?
বিপদ কালে অভাগারে, তুলে নাওগো তথায়।
এই প্রার্থনা রাখছি তোমার রাঙা দুটি পায়
অপার হয়ে কাঁদছি কূলে পার করো আমায়।
আকাশ বাতাস চন্দ্র সূর্য,অগণিত তারা
অসীম সেই জগত মাঝে হচ্ছি দিশেহারা।
ঠাঁই করে দাও হে দয়াল, তোমার রাজ্য পারে,
খুঁজে ফিরছি সেই জায়গাটি, ঘুরছি অনিবারে।
তোমায় আমি স্মরিনাই কভু ,এই ধরণী মাঝে
ভোগ লালসায় লিপ্ত ছিলাম,মত্ত খারাপ কাজে।
ক্ষমা করে দাও গো আমায়, ওহে পরম সাঁই
তোমার অসীম কৃপায় যেন, তোমাতে স্থান পাই।
যখন আমি রোগে ভুগি,তখন তোমায় স্মরি,
শপথ করি ডাকব তোমায়,কুপথ পরিহরি।
সুবিনীত প্রণাম করি তোমার শ্রী চরণে
সব কালিমা ধুয়ে ফেলি, যা ছিল এই মনে।
তুমি প্রভু সকল জীবের করুণানিধান !
জগত জুড়ে আছে তোমার পবিত্র বিধান।
তাইতো তোমার মধুর নামে নয়নাশ্রু ঝরে !
সেই মধু নাম দুঃখ মুছে, শোক বিমোচন করে ।।