গণহত্যায় মাতছে যারা, রক্তের হোলি খেলছে তারা
ওরাই যে মানুষ নামক অসুর ।
ধর্ষণ শেষে হত্যা করছে, নির্বিচারে মানুষ মরছে,
কিবা তাদের এমনতর কসুর ?
করছে তাদেরে বাস্তুহারা, সর্বস্বান্ত দেউলিয়া তারা
আগুন শুধুই জ্বলিছে রোহিঙ্গাঘরে !
মৃত্যুর শিকার অধিবাসী, রোহিঙ্গা সব নয় সন্ত্রাসী,
অনর্থক তারা নির্বিচারে মরে ।
বিশ্ব সম্প্রদায় দেখ চেয়ে, তাণ্ডব ওরা করছে ধেয়ে,
মিয়ানমার নরঘাতকের দেশে ।
ফিরে পাক তারা অধিকার, পরিস্থিতি হোক নির্বিকার,
মৌলিক সত্ব ফিরে পাক অবশেষে ।
ভিটে মাটি আজকের নয়, বিদিত আছে জগতময়,
আরাকানের রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর বিষয় ।
বর্মাদেশেই স্থায়ী বসত, রোহিঙ্গারা নয় যে অসৎ,
“রোহিঙ্গা” তাদের মৌলিক পরিচয় ।
জীবন যদি গতিহীন হয়, সে তো কোন জীবন নয়,
দিশেহারা রোহিঙ্গা নরনারী ।
ছিন্নমূল আজ রোহিঙ্গা যত, সবাই তারা ক্ষত বিক্ষত,
এ অনাচারের ব্যাখ্যা দিতে নারি ।
বিশ্ববাসী এগিয়ে আসো, ভাইয়ের মত ভালবাসো,
সবাই করো রোহিঙ্গাদেরে ত্রাণ ।
এসো তাদেরে আগলে রাখি, মানবিক ত্রাণ করতে থাকি
জুড়াক তাদের শোকাহত প্রাণ ।
মানুষ নয় তো কচুরি পানা, টেনে নিতে নয় কো মানা,
পতিতের প্রতি বাড়িয়ে দাও হাত ।
জাত-পাতের চিন্তা ছাড়ো, অন্তরের কালিমা ঝাড়ো,
এসো তবে যোগাই তাদের ভাত ।
আরাকান রাজ্যের বাসিন্দা, জাতি-গোত্রে তারা রোহিঙ্গা,
ইতিহাসে রয়েছে তাদের কথা ।
আছে কী বর্মার অধিকার, গণহত্যা করতে দীদার,
গণহত্যা কি বুদ্ধ দেবের প্রথা ?
জাতি ধর্ম যত নির্বিশেষে, জন্মেছে সব মানুষ বেশে,
মানবতায় ঘৃণার কিছুই নাই ।
অমানবিক ঘৃণিত কাজে, জগতবাসী মরছে লাজে,
সৃষ্টিকর্তাও ব্যাথিত হলেন তাই ।
জন্ম ল’য়ে মানবকুলে, মানবতাকে যায় যে ভুলে
মানুষ কেন করছে অবিচার ?
এ কেমন দেবতার শিক্ষা, যে দেবতা দিয়েছে দীক্ষা,
দিয়েছে কী হত্যার অধিকার ?
বলছি তোমায় বিনয় ক’রে, সহিংসতা হতে যাও স’রে,
নইলে কিন্তু পড়বে ভীষণ ফেরে !
নিজেরে মোড়ল ভেবো না, বিশ্ব মোড়লদেরে চেননা,
নোংরা যুদ্ধে তুমি যাবে হেরে ।
বর্মা তুমি হও বিরত, দুর্বলদেরে মারবে কত
নইলে দুর্দশা তোমায় ছাড়বে না ।
লাশময় নাফ নদী জলে, গন্ধে উড়ছে মাছি দলে,
হত্যাযজ্ঞ অব্যহত সেই দেশে ।
নামটি যার অং সান সু চি, মানব রক্ত খায় সে শুষি,
ভান করে সে অতি ভদ্র বেশে ।
তার নাই কোন মানবতা, পালন করে নীরবতা,
কুকুরী করে সদা, না-জানার ভান ।
রোহিঙ্গা নিধন বন্ধ কর, মানবতার পথটি ধর,
পুনর্বাসনে রাখো, শান্তির অবদান ।।