রক্ত ঝরা একুশ আসে ফিরে ফিরে
মা কেঁদে ভাসায় বুক নয়নের নীরে,
সদা বাজে শোকের ব্যথা হৃদয় তীরে-
সে পুত্র বিয়োগ ব্যথা !
একুশে চলেছিলো রক্তের হোলি খেলা
কত তাজা প্রাণ ঝরে পড়লো অবেলা,
পাক শাসক দল করলো অবহেলা-
অগ্রাহ্য করলো কথা।
বাহান্নর একুশে ফুটলো না ফুল,
জুটলোনা কাননে কোন অলিকুল,
রক্ত রঙীন নগরী, হল শোকাকুল-
একুশ শক্তি আনে মনে।
যারা দিলো প্রাণ অকুতোভয় তারা
বহে রাজ পথে তাজা রুধির ধারা
আমার ভাই নির্বিচারে গেলো মারা-
সে অশুভ নির্মম ক্ষণে!
একুশ,আন্দোলনের চিরন্তন সাথী,
একুশ, অন্ধকারে পথ দেখানো বাতি,
স্বাধীনতা নয় সস্তা, আসেনি রাতারাতি-
তা ভুলি না যেন কভু।
গণহত্যার শোক পীড়নে আমি মরি
হারাই ভ্রাতৃ ধন, মুক্তি লড়াই করি,
শপথ নিলো ভাইয়েরা আগ্নেয়াস্ত্র ধরি-
যত মারলো পাকি প্রভু।
একুশ, পরাশক্তি সে বিজয় অবধি,
একুশ চললো পথে নিত্য নিরবধি
বিজয়ী হতো না, একুশ না হতো যদি-
এই তো আসল তত্ত্ব।
একুশ ছিলো তাই, স্বাধীনতা এলো
ভয়াল ছাব্বিশ মার্চে স্বাধিকার পেলো
লড়াই উঠলো তুঙ্গে, দেশ এলোমেলো-
এক সুতে গাঁথা তিন সত্য !
স্বাধীনতা দিবস, শহীদ দিবস কি?
বিজয় আসে কখন, তাও কি শোননি?
রক্তে লেখা তিন দিবস শোক-কাহিনী-
কত যে বিষাদময় !
একুশ আমাদের অগ্রপথিক জানি,
একুশ ঝরায় অবাধ চোখের পানি
একুশ, কবির রচিত কবিতাখানি-
শোকগাথা অতিশয়!!
বাংলার ইতিকথা রক্ত দিয়েই লেখা,
কালিতে হয়নি লেখা, তাজা রক্ত-রেখা!
কোথাও পাবেনা এমন দেশের দেখা-
জগতের কোন স্থানে!!
রক্তার্জিত দেশ, শত স্মৃতিতে ঘেরা,
সুজলা সুফলা ভূমি, জগতের সেরা!
দিলো সস্তা প্রাণ, মা বাপ ভাই বোনেরা-
স্বদেশের পরিত্রানে!!
একুশ অর্থ, নগ্ন পায়ে হাঁটার দিবস,
একুশ যে কালো পতাকা উড়ানোর দিবস
একুশ তো পুস্পস্তবক অর্পণের দিবস-
সে একুশে ফেব্রুয়ারি !
একুশ সারা বিশ্বের শোকের দিন
একুশ হৃদয়ে বাজে বিষের বীণ
একুশ ভাষা শহীদের কালো দিন-
কখনো না ভুলতে পারি ।
পথে প্রান্তরে ঝরেছে নীরিহ প্রাণ
বিনা যুদ্ধে তারা ,করেছে রক্ত দান,
এক নদী রক্তে রক্ষিলো মায়ের মান-
সে নজীর বিহীন রক্ত !!
ভুলিনাই সে একতা, আজো আছে মনে,
উন্মত্ত ছাত্র সমাজ, ভাষা আন্দলনে-
হয় আগুয়ান মহান নেতার সনে-
মঙ্গলকামী দেশ ভক্ত!
জয় বাংলা, এক সাগর রক্তার্জিত অবিভক্ত, স্বত্ব!!!!