, বসন্তের শোভা
দীনেশ পিটার রেগো
শুলপুর, বিক্রমপুর, বাংলাদেশ
বসন্ত যে এলো ঘরে , ফুলদল ফোটে ঝরে,
মন মাতিয়ে তোলে ফুলের সুবাস,
চারদিক সুরভিত, মনপ্রাণ বিমোহিত,
হৃদয়ে জাগে নব প্রেমের আভাস !
বনে-গাছে গায় পাখি, নানা সুরে ডাকাডাকি,
মধুপ গুঞ্জরি গায় সারা বনময়,
পাখিকুল বাঁধে বাসা, মনে নিয়ে বড়ো আশা,
বসন্তকালে এদের বংশ বৃদ্ধি হয়।
শিমূল-পলাশ বন, রাঙ্গিয়ে দিলো ভুবন,
আম্রমুকুল ছড়ায় লোভাতুর ঘ্রাণ,
দশদিশি আমোদিত, নানা রঙে আলোকিত,
বসন্ত জাগিয়ে তোলে অর্ধমৃত প্রাণ।
কোকিল বসন্তবর, কোকিলার কুহুস্বর,
সেই সুরে বিরহীর ঝুরে মরে মন,
সাথি নাই যার পাশে, ব্যথার সায়রে ভাসে,
বিরহিণীর আঁখিনীর ঝরে অনুক্ষণ।
দামাল থাকে না ঘরে, মধু আহরণ করে,
দল বেঁধে স্বচ্ছন্দে মধু খায় তারা,
নানান খেলার ছলে, মেতে রয় কোলাহলে ,
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে খেলা হয় সারা।
আজ পূর্ণিমার রাতে ক্রিকেটে বালক মাতে,
পূর্ণিমার রজনী দিবালোকের মত,
ছুটাছুটি করে তারা, জ্যোৎস্নায় মাতোয়ারা,
বসন্ত-রাতে তারা খেলায় নিয়োজিত।
মানুষের সখের প্রতি, করোনা টেনেছে যতি,
ধরণি হয়েছে আজ দিনোদনহীন,
আজ বর্ণিত হ’ল যা, বিগতকালে ছিলো তা,
আসবে কী ফিরে সেই সুখের সুদিন?
সুদিনের প্রতীক্ষাতে, চেয়ে থাকি দিবারাতে,
কবে আসবে সেইরূপ বিনোদন ফিরে?
করোনা তো যাবে সরে , টিকা নিচ্ছে ঘরে ঘরে,
আশা করি উপদ্রব কমবে ধীরে ধীরে।