এই লেখা পড়ার আগে আপনাদের মূল্যবান ‘সময়’ ও চিন্তার যথাযথ সম্মান দিয়ে কয়েকটা কথা ……
সময়ের অনুভূতি নেই ।
আমরা এক-একজন এক-একটা সংস্থা, যারা কিছু করতে পারে বলে বিশ্বাস করি । কিন্তু ভবিষ্যত বদলে দিতে অভিনয় করে কী লাভ, যখন সত্যিকার অর্থে, ভবিষ্যত বলে কিছু না থাকে ..
সময়ের অস্তিত্ব নেই ভাবনা আমাদের ‘অচল’ করে দেবে ।
পদার্থবিজ্ঞান সময়কে বাদ দিতে পারে, এটা কাজের গতিধারায় কোন বাধা সৃষ্টি করে না । সম্ভবত পদার্থবিদ্যা আমাদের যা বলছে, তা হল সেই কার্যকারণ, সময় নয়, আমাদের মহাবিশ্বের মৌলিক বৈশিষ্ট্য।
যদি এটাই ঠিক হয়, তাহলে আমাদের সামাজিক চিন্তা-ভাবনা এখনও টিকে থাকতে পারে। কারণ কার্যকারণ পরিপ্রেক্ষিতে এদের অনুভূতি পুনর্গঠন করা সম্ভব।
যাচ্ছে সরে নিম্নচাপের জমাট মেঘের দল
দেয় উঁকি - শরতের ছেঁড়া মেঘের খোপ ;
আদেখলার পতিত জমি
সরু রাস্তার পাশে
ঝলমলে রোদ, অযাচিত ঝোপ ।
মুক্তির স্বাদ ছড়িয়ে হাসে টুকটুকে লাল ফুল
তাকিয়ে থাকে, আমিও তাকাই সময়েরই ভুল ।
আলোর সাথে পাল্লা দিয়ে, এই দিন - এই রাত
গজগমনে সেতারে ঝংকার
কেয়া বাত, কেয়া বাত ।
আবেদনের তেজী সুরে ‘হাওয়া’ ধরলে গান
সমারোহে ঝোপে ঝাড়ে
লাল, নীল, সাদা
তোমার আমার কাছে - চাইছে প্রতিদান ।
তেজ হাওয়ায় দৌড়ে চলে দিনের আলো
গরাদ ফাঁকে তুমি আমি, চোখ জোড়ালো ।
তালে তালে সুর মেলে না আজ
চাকায় ঘোরে
দিন-রাতের বজ্রকঠিন ভাঁজ ।
লোকে বলে – ‘সময়’ বিদঘুটে
খেই হারাই,
হাওয়ার ঠেলায় ছুটে ।
হাওয়ার সাথী নামী অনামী
আত্মীয়দের আত্মা -
উঁচিয়ে গলা বলেছিল ‘থামো’……
গোলাকার বেড়ির মাঝে
ছোট্ট এক বিন্দু,
‘সময়’ যে এক দুর্ধর্ষ ইন্দু;
ঝোপে-ঝাড়ে আলো-ছায়ায়
‘মায়াবী প্রেম’ ব্যামো ।