বেদনার পোড়া রঙে বেদানার খোসা
আমার পায়ের পাতা মারিয়েছে লতা ।
পড়শিরা বলে গেল মোলায়েম ভাষা
চনমনে কলমের আলাপচারিতা ।
কাতলের ক্যাবলামি চিতলের পেট
উনুন কড়াই খন্তা ল্যাবড়া মহিমা ।
মশলার গুলতানি ‘গসিপ’এর ভেট
আঁচে আছে আজও বেঁচে ঠাকুমা দিদিমা ।
‘রামধনু’ ভাষাতেই ‘রঙ’ কেরামতি
গৃহবধু রুক্মিনী দক্ষিণে মুখ ।
জটাজুট রামায়ণে সীতা সৎ-সতী
উত্তরে শ্রীরাধা রসালো কৌতুক ।
শিল্পীর রেখাটানে মোনালিসা হাসি
ট্যুইটারে টিয়া ঠোঁট টকটুকে লাল ।
গাছ পাকা তেঁতুলেই প্রজাপতি ঋষি
খয়েরে পানের পাতা দীপ্ত মশাল ।
হিমালয়ে দেব-বানী ধ্বনি-প্রতিধ্বনি
সাত-সতেরো নয় সত্তর বছর ।
যোগীরা হয় না ভোগী তবু শয়তানি
ঘোমটা-বাহারে মুখ ছিল অগোচর ।
বাঘের গর্জনে ভাঁজ খামখা খেয়াল
গৈরিক বেশভূষা গৈবি ছেনালি ।
ডুগডুগি তালে মজে নটরাজি চাল
নীল-সাদা-গেরুয়ার নিধুবন কেলি ।